বিজয় দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজন করে এই ‘বিজয় উৎসব’। এখানে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারাই দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে তারা যুদ্ধ করেছিলেন, তাই তাদেরকে লাখো সালাম জানাই। এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণও দিয়েছেন এখানেই। এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঐতিহাসিক স্থান।’
শেখ হাসিনার ভাষ্য, ‘এ দেশে পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করা হয়েছিল। আমি বাংলাদেশের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ, তারা আমাকে ও আওয়ামী লীগকে আবারও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে পরিচালনার সুযোগ করে দিয়েছেন। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোলমডেল। এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে।’
২০২১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করা হবে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তার কথায়, ‘দেশের প্রতিটি মানুষ যেন যুগ যুগ ধরে এই আনন্দ উৎসব করে যেতে পারি, সেটাই চাই। আর যেন কোনও অন্যায়-অবিচার দেশে না হয়। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গেও ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় একজন মুক্তিযোদ্ধার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ করে দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।