জানাজায় অংশ নেন- রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বাণিজ্যমন্ত্রী তোয়ায়েল আহমেদ, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, পানি সম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।
জানাজা শেষে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরাসহ উপস্থিত সবাই অংশ নেন।
জানাজা শেষে ঢাকা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে রাষ্ট্রপতি ও প্রাধানমন্ত্রী মরদেহে শ্রদ্ধা জানান। এরপর স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চেধুরী, ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া, মন্ত্রিসভা, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
জানাজার আগে মরহুমের কর্মময় জীবন সম্পর্কে আলোচনা করেন সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম। এ সময় একমাত্র ছেলে ছায়েদুলের হকের পক্ষে সবার কাছে ক্ষমা এবং দোয়া চান।
এর আগে সকাল সোয়া আটটার দিকে মরদেহ দক্ষিণ প্লাজায় আনা হয়। কফিনটি জাতীয় পতাকায় ঢাকা ছিল। পরে কফিনটি দক্ষিণ প্লাজায় কালো কাপড়ের ছাউনিতে তোলা হয়। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানান।
উল্লেখ্য, ছায়েদুল হক পাঁচ বার সংসদ সদস্য ছিলেন।
জানা গেছে, শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মরদেহ তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দরে নেওয়া হবে। সেখান থেকে মরদেহ হেলিকপ্টারে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে আনা হবে। সেখানে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে মারা যান। শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী সেখানে তিন মাস ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আরও পড়ুন:
ছায়েদুল হকের মরদেহ সংসদ ভবনে