অভিযানে আবাসিক প্লটে নকশা বহির্ভূতভাবে স্কুল পরিচালনার জন্য গরিব-ই-নওয়াজ রোডের ‘মাস্টার মাইন্ড স্কুল’কে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে স্কুলটিকে ওই স্থান থেকে সরে যেতে বলা হয়েছে। ওই রোডের ১০নং প্লটে আবাসিক ভবনের অনুমতি নিয়ে নির্মিত সাত তলা ভবনকে বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে ব্যবহারের দায়ে ভবন মালিককে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় কার্যক্রম পরিচালনা করা ‘ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক’কে জরিমানা করা হয় ৫০ হাজার টাকা। অন্যান্য ফ্লোরের অবৈধ বাণিজ্যিক স্থাপনা সিলগাল করে দেন রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নিয়ম অনুযায়ী ভবন মালিক ভবনটিকে ‘অ-আবাসিক’ হিসেবে রূপান্তর করতে না পারলে ব্যাংককে অন্য কোথাও সরে যেতে বলা হয়েছে।
একইভাবে আবাসিক প্লটে হাসপাতাল পরিচালনার জন্য ৯নং প্লটের ‘লুবানা হাসপাতাল’কে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নির্ধারিত ফি দিয়ে ভবনটিকে ‘অ-আবাসিক’ হিসেবে রূপান্তর করতে বলা হয়। একই সেক্টরের ৮নং প্লটের আট তলা ভবন আবাসিক হিসেবে অনুমোদন নিয়ে বাণিজ্যিক ব্যবহারের দায়ে ভবন মালিককে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাছাড়া ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় অবস্থিত এবি ব্যাংককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যান্য তলার অবৈধ বাণিজ্যিক স্থাপনা সিলগালা করে দেওয়া হয়। এই ভবনের মালিককেও আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ভবনটিকে ‘অ-আবাসিক’ হিসেবে রূপান্তর করার নির্দেশ দেন আদালত। তা না করতে পারলে ব্যাংককে ওই ভবন থেকে সরে যেতে বলা হয়েছে।
ওই রোডের ৭নং প্লটের সাত তলা ভবনটির অনুমোদন আবাসিক ভবন হলেও ভবনটিকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের দায়ে ভবনের বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। ভবনের নিচ ও দ্বিতীয় তলার অবৈধ বাণিজ্যিক স্থাপনাও সিলগালা করে দেওয়া হয়।
উচ্ছেদ কার্যক্রমে রাজকের জোন-২-এর (উত্তরা, টঙ্গী, গাজীপুর) পরিচালক আনন্দ কুমার বিশ্বাস, সহকারী অথরাইজড অফিসার আতাউর রহমান, মো. খায়রুজ্জামান ও জান্নতুন নাঈমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।