আপন জুয়েলার্সের তিন মালিকের জামিন স্থগিত

আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাইশুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের দায়ের করা অর্থপাচারের পাঁচ মামলার মধ্যে তিন মামলায় আপন জুয়েলার্সের তিন মালিকের জামিন আগামী ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

সোমবার এক আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী দিলদার আহমেদ, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের জামিন স্থগিত করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপস ও আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহবুব মোর্শেদ।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আসামিদের জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহের হোসেন সাজু। এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর তিন মামলায় ওই তিনে জনের জামিন দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বাকি ‍দুই মামলা মুলতবি রাখেন।

পরে ইউসুফ মাহবুব মোর্শেদ বলেন, ‘আদালত তিন মামলায় জামিন দিয়েছেন। তবে বাকি দুই মামলা মুলতবি রেখে একমাস পর শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তাই এখন এ মামলা দিলদার আহমেদ ছাড়া বাকি দুই আসামি জামিনে মুক্ত হতে পারবেন।’

এর আগে গত ২২ নভেম্বর রাজধানীর বিভিন্ন থানায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের দায়ের করা অর্থপাচার মামলায় আপন জুয়েলার্সের তিন মালিক দিলদার আহমেদ, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদেকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরকারকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়। ওইদিন পৃথক পাঁচটি আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আইনজীবী আমিন উদ্দিন বলেন, আপন জুয়েলার্সের মালিকদের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা হওয়ার কথা না। কারণ তাদের বিরুদ্ধে চোরাচালানের অভিযোগ করা হয়েছিল। এছাড়াও তাদেরকে (তিন মালিক) একটি দোকানের বিষয়ে শুল্ক আইনে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে একটি রিট মামলাও চলমান রয়েছে। অথচ এসব প্রক্রিয়াধীন থাকা সত্ত্বেও তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হলো। 

তিনি আরও বলেন, বিচারিক আদালতে আপন জুয়েলার্সের তিন মালিকের পক্ষে আবেদন করা হলেও তাদের জামিন মেলেনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করা হয়। আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। একইসঙ্গে দুই সপ্তাহ পর বিষয়টি কার্যতালিকায় এলে রাষ্ট্রপক্ষে এ নিয়ে শুনানি করতে বলা হয়।

এই রুলের ওপর হাইকোর্টে শুনানি শেষে আদালত আসামিদের জামিন দেন। আজ আসামিদের সেই জামিন আদেশ স্থগিত চাওয়া হয়।