বর্তমান পরীক্ষা পদ্ধতিও একটি বড় ধরনের দুর্নীতি: সলিমুল্লাহ খান

বর্তমান পরীক্ষা পদ্ধতিকেও একটি বড় ধরনের দুর্নীতি বলে উল্লেখ করেছেন শিক্ষাবিদ সলিমুল্লাহ খান। বৃহস্পতিবার বাংলা ট্রিবিউন আয়োজিত ‘প্রশ্ন ফাঁস’ শীর্ষক বৈঠকিতে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষাবিদ সলিমুল্লাহ খানসলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘দেশে অনেকগুলো দুর্নীতির মধ্যে বর্তমানে যে পরীক্ষা পদ্ধতি এটা বড় ধরনের একটি দুর্নীতি। অর্থ্যাৎ মুখস্ত করে পরীক্ষা দেওয়া পদ্ধতিটাই হচ্ছে বড় দুর্নীতি। মাল্টিপুল চয়েজ অর্থ্যাৎ এমসিকিউ পদ্ধতি হলো ফাঁকিবাজি পদ্ধতি। এর মাধ্যমে কিছু শেখাও হয় না, জানাও হয় না। এটা একটা বড় ভুল পদ্ধতি।’

শিক্ষাবিদ সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁস প্রতিনিয়ত বাড়ছে এটা তো আমরা দেখতেই পারছি। প্রতিনিয়ত গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে। এখন প্রশ্ন ফাঁসের তীর শিক্ষকদের দিকে। আমি নিজেও যখন শিক্ষক সেহেতু এই তীর আমার দিকেও। এটা আমি অস্বীকার করবো না। বর্তমানে প্রশ্নফাঁস কোনও সমস্যা নয় বরং এটা সংকটের লক্ষণ। কিন্তু এটা সমস্যা হিসেবে দেখলে প্রতিকারের কথা আসবে। তবে যদি সংকটের লক্ষণ হিসেবে দেখা হয় তাহলে এর গোড়া কোথায় তা খুঁজে বের করে নির্মূল করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রশ্নফাঁস বাড়ার কয়েকটি কারণ রয়েছে। একটি হলো, এই এমসিকিউ পরীক্ষা পদ্ধতি। অনেক কঠিন সিলবাস এবং অবৈধভাবে শর্টকাটে ধনী হওয়ার চিন্তা-ভাবনা। এগুলো থেকে বের হতে পারলেই প্রশ্ন ফাঁস কমে যাবে। এছাড়া শিক্ষক সংকট রয়েছে প্রচুর। ৬০ জন শিক্ষার্থীর জন্য মাত্র একজন শিক্ষক। শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছে ৩০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১ জন শিক্ষক থাকবে। কিন্তু এত শিক্ষক সংকট হলে কিভাবে শিক্ষা ব্যবস্থার গুণগত মান নিশ্চিত হবে?’

মাহবুবুল হকের সঞ্চালনায় বৈঠকিতে আলোচক হিসেবে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অসিত বরণ পাল, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষক অমূল্য কুমার বৈদ্য ও বাংলা ট্রিবিউনের চিফ রিপোর্টার উদিসা ইসলাম।

ছবি: নসিরুল  ইসলাম