যে কারণে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ

 





তিন মন্ত্রী ও এক প্রতিমন্ত্রীকে শপথ বাক্য পড়াচ্ছেন রাষ্ট্রপতি (ছবি- ফোকাস বাংলা)প্রশাসনিক কাজে আরও গতি আনতে ও সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলো দ্রুত সম্পন্ন করতে অনেকটা হঠাৎ মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচনের আগে মন্ত্রণালয়ভিত্তিক জমে থাকা কাজ শেষ করাই এর অন্যতম উদ্দেশ্য। তার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য জানিয়েছে।





ওই সূত্রগুলো জানায়, মন্ত্রিসভার কয়েকটি দফতরে কাজের ধীরগতি লক্ষ্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এগুলো দ্রুত সম্পন্ন করতে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দিতে হবে ভেবেই মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো মনে করছে, মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও রয়েছে। যেসব জেলায় আওয়ামী লীগের ভোট কম কিংবা উন্নয়ন কাজে পিছিয়ে আছে, মন্ত্রী নিয়োগের মাধ্যমে সেই আসন নিশ্চিত করতে চান প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি ওইসব এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া দেখার ইচ্ছা তার। এই ভাবনা থেকে নির্বাচনের আগে মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন এনেছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় সম্প্রসারণ ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অংশ। মন্ত্রিসভায় প্রাণের সঞ্চার করতে পরিবর্তন লাগে। এটি তারই অংশ।’

একই সুরে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বললেন, ‘মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ ধারাবাহিক ঘটনা।’

সূত্র জানায়, অন্তত ছয়টি মন্ত্রণালয়ে কাজের ধীরগতি দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নিয়ে তিনি কয়েক দফা কথাও বলেছেন। সম্প্রসারণের মাধ্যমে কয়েকজন নতুন মন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া না হলে কাজগুলো দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না মনে করেছেন শেখ হাসিনা। এছাড়া কিছু নতুন মুখ নিয়ে এলে তাদের মধ্যে কাজের নতুন উদ্যম থাকে বলেও মনে হয়েছে তার। তার আশা, এর ফলে দ্রুততার সঙ্গে শেষ হয়ে যাবে জমে থাকা কাজগুলো।
এদিকে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হচ্ছেন না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অনেক কেন্দ্রীয় নেতা। তাদের মধ্যে মন্ত্রী হতে না পারার দুঃখ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারা মনে করছেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হলে দুটি লাভ হতো। একদিকে রাজনৈতিকভাবে লাভবান হতো দল, অন্যদিকে গতি বাড়তো সরকারের কাজেও।

নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র বাংলা ট্রিবিউনকে জানায়, মন্ত্রিসভায় আরেক দফা পরিবর্তন আসতে পারে। সেটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এ মাসেই।

জানা গেছে, গত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ঘোষিত ইশতেহারের অনেকখানি এখনও অসম্পন্ন রয়ে গেছে। এ কারণে ভোটের মাঠে সরকার প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। নতুন এই নিয়োগের মাধ্যমে ইশতেহারে ঘোষিত কাজগুলো শেষ করাই হবে অন্যতম কাজ।