রাষ্ট্রায়ত্ত সেই তিনটি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় বাধা নেই

সুপ্রিম কোর্টসমন্বিত সার্কুলারের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, রূপালী ও জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার, অফিসার (সাধারণ) ও অফিসার (ক্যাশ) পদে নিয়োগ পরীক্ষার সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। ছয় সপ্তাহের জন্য এই স্থগিতাদের দেওয়া হয়েছে। এর ফলে আগামীকাল শুক্রবার ১২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ওই তিন ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা হতে কোনও বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) এক আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এই আদেশ দেন।

আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এছাড়া রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জিয়াউর রহমান ও আইনজীবী রাশেদুল খোকন।

এর আগে গত ৭ জানুয়ারি এক আবেদনের শুনানি নিয়ে সমন্বিত সার্কুলারের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, রূপালী ও জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার, অফিসার (সাধারণ) ও অফিসার (ক্যাশ) পদে নিয়োগ পরীক্ষার সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট রাশেদুল হক খোকন। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট তানজিম আল ইসলাম ও মীর্জা সুলতান আল রেজা। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

পরে রাশেদুল হক খোকন বলেন, ২০১৬ সাল বিভিন্ন ব্যাংক পৃথক পৃথক সার্কুলার দিলেও পরীক্ষা না নিয়ে ২০১৭ সালে সমন্বিত সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ কারণে ২০১৭ সালের এই সার্কুলারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৬ সালের ২৮ পরীক্ষার্থী রিট দায়ের করেন। এই রিট পিটিশনের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন। রুলে সোনালী, রূপালী ও জনতা ব্যাংকে নিয়োগের জন্য ২০১৭ সালের জারি করা সার্কুলার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। একইসঙ্গে ২০১৭ সালের সমন্বিত সার্কুলারের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, রূপালী ও জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার, অফিসার (সাধারণ) ও অফিসার (ক্যাশ) পদে নিয়োগ পরীক্ষার সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন।