মানবতাবিরোধী অপরাধ: মুসার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ

মানবতাবিরোধী অপরাধী মুসামানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক রাজশাহীর কাঁঠালবাড়ীয়া গ্রামের পুঠিয়া ত্রিমোহনী বাজারের আব্দুস সামাদ মুসার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ১৫ জনকে হত্যার পাঁচটি অভিযোগসহ ৪০৯ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

রবিবার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ তদন্ত সংস্থার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক মো. সানাউল হক। এটি ছিল তদন্ত সংস্থার ৫৮তম তদন্ত প্রতিবেদন।

সানাউল হক বলেন, ‘২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর মুসার বিরুদ্ধে আমরা তদন্ত শুরু করি। তদন্তকালে দেখা গেছে আসামি  ‘৭১ সালে রাজশাহীর পুঠিয়া থানা ও দূর্গাপুর থানা এলাকায় ১৫ জনকে হত্যা, ২১ জনকে নির্যাতন, ৮/১০ বাড়িঘর লুণ্ঠনসহ ৫০/৬০ টি বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ পাওয়া যায়।’

তিনি বলেন, এ মামলার তদন্ত শুরুর আগেই ৫ অভিযুক্ত মারা গেছেন। আসামি আব্দুস সামাদ মুসা একাই বেঁচে আছেন। একাত্তরের আগে তিনি মুসলিম লীগের সমর্থক ছিলেন। তবে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিয়ে পুঠিয়া ও দূর্গাপুর থানা এলাকায় মানবতাবিরোধী অপরাধ করেন।

তিনি আরও বলেন, আসামি মুসা একজন ধূর্ত মানুষ। একাত্তরের পর তিনি জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের আসল বয়স লুকিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আইডি করেন। সেই অনুযায়ী তার বয়স ৬১ বছর হলেও আমরা তদন্তের মাধ্যমে তার প্রকৃত বয়স জানতে পেরেছি। আশা করছি ট্রাইব্যুনালে এসব বিষয় স্পষ্ট হবে।

সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক মো. আব্দুল হান্নানসহ সংস্থাটির অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।