একইসঙ্গে এ বিষয়ে জারি করা রুল আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে ১০ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। তাদেরকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস। আর রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
পরে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘একটি তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে তুরাগ তীরে ৩০টি প্রতিষ্ঠানের অবৈধ স্থাপনার নাম আসে। এরপর আমরা ওইসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের আবেদন জানালে আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করেন এবং ২৯টি প্রতিষ্ঠানের স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। একটি প্রতিষ্ঠানের পৃথক নির্দেশ দেন।’
তদন্ত প্রতিবেদনে এনন টেক্স, ড. ফরাস উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়, কর্ডোড ল্যান্ড ডেভেলপার এবং ক্যাপ্টেন জাকির হোসেন, রিয়াজ উদ্দিন, প্রত্যাশা হাউজিং, গাজীপুর সিটি করপোরেশন, নার্গিস আক্তার অ্যান্ড সালাহ উদ্দিন, মো. জাহাঙ্গীর জিপার ফ্যাক্টরি, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ড্রাইভারস ইউনিয়ন, সেন্ট্রাল মেডিক্যাল কলেজ, ইউনুস মেম্বার, (আনন্দ গ্রুপ) জরিনা টেক্সটাইল, হামিম গ্রুফের সাজিদ ওয়াশিং, বিশ্ব ইজতেমা, শিল্প সম্পর্কিত শিক্ষায়ন, টঙ্গী নিউ মার্কেট (মসজিদ মার্কেট), শাহ আলম গং, মোসলেম সরকার, মেজবাহ উদ্দিন সরকার, আব্দুল হাই, আবু তাহের, গিয়াস উদ্দিন, ছোবহান শেখ, লুৎফা বেগম, ডলি বেগম, সেলিম শেখ, ফজলু মিয়া, আনোয়ার গ্রুপ, দ্য মার্চেন্ট লিমিটেড অ্যান্ড প্যাকেজিং ফ্যাক্টরি, টেক্সাটাইল মালিক ইমান আলীসহ মোট ৩০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে আসে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত বছরের ৬ নভেম্বর একটি ইংরেজি দৈনিকে এ সম্পর্কিত এক সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এর ভিত্তিতে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে একই বছরের ৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়।