বিমান সূত্রে জানা গেছে, বিগত হজ মৌসুমে হজ গিয়েছিলেন সর্বমোট ১ লাখ ২৭ হাজার ২২৯ জন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ৬৪ হাজার ৮৭৩ জন হজযাত্রী। পূর্ব-নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বিমান অতিরিক্ত এক হাজার ২৭৪ জন হজ যাত্রী পরিবহন করছে। গত হজ মৌসুমে হজ ফ্লাইট নিয়ে সংকটের কারণে বিমানের নিয়মিত শিডিউল ফ্লাইট ও বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। এ কারণে বাধ্য হয়ে কয়েকটি আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইট শিডিউল কমিয়ে আনে বিমান।
এছাড়া, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বিমান যাত্রী বহন করেছে ২৩ লক্ষ ৫১ হাজার।পূর্ববর্তী অর্থ বছরের চেয়ে ৩৩ হাজার বেশি। বিগত ৩ বছরে বিমানের যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে ৩ লাখ ৩১ হাজার।
অন্যদিকে চলতি বছরের মার্চে চীনের গুয়াংজু রুটে ফ্লাইট চালানোর প্রস্তুতিও নিচ্ছে বিমান। এছাড়া এ বছরেই কলম্বো ও মালেতেও নতুন রুট চালু করবে বিমান। নতুন রুট, যাত্রী বৃদ্ধি, একইসঙ্গে ফ্লাইট শিডিউল ঠিক রাখতে চারটি উড়োজাহাজ লিজ নেবে বিমান।
বিমান সূত্রে জানা গেছে, হজের জন্য চারটি ওয়াইড বডি উড়োজাহাজ এসিএমআই চুক্তিতে লিজ নেওয়া হবে। কমপক্ষে ৩০০ আসন এবং ৭০০ ব্লক আওয়ার উড্ডয়নের সক্ষমতা সম্পন্ন উড়োজাহাজ লিজে নেওয়া হবে। উড়োজাহাজ লিজ নেওয়ার জন্য ডিসেম্বর মাসে বিমানের করপোরেট প্ল্যানিং বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আবদুর রহমান ফারুকী স্বাক্ষরিত আন্তর্জাতিক দরপত্র প্রকাশ করা হয়। সে দরপত্রে বলা হয়, ১৭ জানুয়ারির মধ্যে দরপত্র জমা দিতে হবে। শর্ত হিসেবে বলা হয়, উড়োজাহাজের বয়স ২০ বছরের কম হতে হবে।
এ প্রসঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘হজের সময় নিয়মিত শিডিউল ফ্লাইটের চেয়ে অতিরিক্ত ১৫০টির বেশি ফ্লাইট পরিচালনা হয়। এ সময় উড়োজাহাজের সংকট থাকলে হজ ফ্লাইটের পাশাপশি নিয়মিত ফ্লাইটে প্রভাব পড়ে। এ বছর হজ মৌসুমে বিমানের নিজস্ব বড় উড়োজাহাজ ব্যবহার করা হবে। লিজের উড়োজাহাজ নিয়মিত শিডিউল ফ্লাইটের ব্যবহার করা হবে। এতে শিডিউল বিপর্যয়ের ঝুঁকি থাকবে না।