রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ চুক্তি মঙ্গলবার

রোহিঙ্গা সংকট২০১৬ সালের অক্টোবরের পরে যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে, তাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ চুক্তি স্বাক্ষর হবে।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) মিয়ানমারের  রাজধানী নেপিদোতে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট নিয়ে আলোচনা হয়।

সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছি। কয়েকটি খুঁটিনাটি বিষয় বাকি আছে, যেগুলো আজ  (সোমবার) রাতে এবং মঙ্গলবার সকালে চূড়ান্ত হয়ে যাবে।’

ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট চুক্তির মূল বিষয়বস্তু থাকবে, কবে নাগাদ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু এবং কত দিনের মধ্যে এ প্রক্রিয়া শেষ হবে। প্রতিব্যাচে কতজন রোহিঙ্গা ফেরত যাবে। বাংলাদেশে কয়টি ট্রানজিট ক্যাম্প এবং মিয়ানমারে কয়টি রিসিপশন ক্যাম্প থাকবে ইত্যাদি।

যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক এবং মিয়ানমারের পক্ষে তাদের পার্মানেন্ট সেক্রেটারি মিন্ট থো।

রোহিঙ্গাদের তালিকা কবে দেওয়া হবে জানতে চাইলে এই সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট স্বাক্ষরিত হওয়ার পরে যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশ একলাখ রোহিঙ্গার তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে দেবে।’

গত বছরের ২৩ নভেম্বর রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য দুদেশ একটি অ্যারেঞ্জমেন্ট স্বাক্ষর করে। তাতে উল্লেখ ছিল, আগামী দু’মাসের মধ্যে প্রত্যাবাসন শুরু হবে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯ ডিসেম্বর দুদেশের ১৫ জন সদস্য করে মোট ৩০ সদস্য বিশিষ্ট যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট পর্যন্ত ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। আর ২০১৭ সালের  ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত সাড়ে ছয় লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে। এছাড়া, আরও  প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা ২০১৬ সালের অক্টোবরের আগে থেকে বাংলাদেশে অবস্থান করছিল।

আরও পড়ুন: হঠাৎ পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ স্থগিত হলো কেন?