আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত চলবে

হাইকোর্ট

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল কোর্ট) পরিচালনা অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই রায় স্থগিত রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফলে আপাতত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় কোনও বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আমির-উল ইসলাম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার হাসান এমএস আজিম।

আদালতে শুনানিকালে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এরপর আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন এবং এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করেন আপিল বিভাগ।

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে ভ্রাম্যমাণ আদালত অধ্যাদেশ জারি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ২০০৯ সালে এটিকে আইনে পরিণত করে।

এই আইন অনুযায়ী ২০১১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর আবাসন কোম্পানি এসথেটিক প্রোপার্টিজ ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খানকে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান। আর ১১ অক্টোবর ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের (মোবাইল কোর্ট অ্যাক্ট, ২০০৯) কয়েকটি ধারা ও উপ-ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন তিনি। পরে এ ধরনের আরও দু’টি রিট করা হয়। তিন রিটের শুনানি শেষে গত বছরের ১১ মে রায় দেন হাইকোর্ট।

সেই রায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল কোর্ট) পরিচালনা সংক্রান্ত ২০০৯ সালের আইনের ১১টি ধারা ও উপ-ধারাকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই আইনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাও অবৈধ ঘোষণা করা হয়।  

গত বছর ১৪ মে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন জানান রাষ্ট্রপক্ষ। ২১ মে থেকে হাইকোর্টের রায়ের ওপর কয়েক দফা স্থগিতাদেশ দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বন্ধে সরকারকে বারবার আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।