বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে সুন্দরবনে বাঘ গণনা

রয়েল বেঙ্গল টাইগার (ছবি- ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত)

বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ উদ্যোগে সুন্দরবনে বাঘ গণনার কাজ শুরু হবে। প্রথমবার এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হলো। সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ ম্যানগ্রোভ অরণ্যের বেশির ভাগই (প্রায় ৬০ শতাংশ) বাংলাদেশে অবস্থিত। এই ম্যানগ্রোভ অরণ্যে পৃথিবীখ্যাত ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার’দের অবাধ বিচরণভূমি। তাদের এই অবাধ বিচরণে সীমান্তের কোনও বাধা নেই। ফলে এতদিন বাংলাদেশ-ভারত মিলিয়ে গোটা সুন্দরবন এলাকায় মোট কতটি বাঘ আছে, তার প্রকৃত তথ্য পাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না।
পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ ফরেস্টের ডেপুটি ডিরেক্টর অজয় কুমার দাস বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, সোমবার (১৫ জানুয়ারি) থেকে সুন্দরবনের সজনেখালিতে দু’দেশের  কর্মকর্তাদের (সুন্দরবনে কর্মরত) নিয়ে তিন দিনের একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। কিভাবে বাঘ গণনার মতো জটিল কাজটি সম্পন্ন করা হবে, সে বিষয়ে এই কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের সুন্দরবন এলাকা থেকে বন বিভাগের চার জন কর্মকর্তা এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছেন। ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার (ওয়াইল্ড লাইফ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ন্যাচার কনজারভেশন) মদিনুল হাসান বলেন, ‘যৌথভাবে বাঘ গণনার কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুন্দরবনের বেশিরভাগ এলাকা বাংলাদেশের সীমানায় পড়লেও এই বনাঞ্চলের জীব-বৈচিত্র্য একই। যৌথভাবে কাজ করলে এবং এবিষয়ে দু’দশের কাজের পদ্ধতি একই রকম হলে, বন্য প্রাণিদের নিয়ে গবেষণা এবং তাদের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ অনেক  মসৃণভাবে করা যাবে। সুন্দরবনের বাঘের বিষয়েও সঠিক এবং নির্ভুল তথ্য মানুষ জানতে পারবেন।’

অজয় কুমার দাস জানান, মূলত ক্যামেরার সাহায্যে এই বাঘ গণনার কাজ করা হবে। এছাড়া, বাঘের পায়ের ছাপ চিহ্নিত করাও এই গণনার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। দিল্লি থেকে ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটি (এনটিসিএ), ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউশন অফ ইন্ডিয়া’র (ডব্লিউআইআই) প্রতিনিধিরা এবং ডব্লিউএফএফ-এর প্রতিনিধিরা এই কর্মশালায় সাহায্য করছেন।

আরও পড়ুন: 
কী আছে ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ চুক্তিতে