ডিএনসিসি’র নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে যা বললেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন (ফাইল ছবি)ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের ওপর তিন মাসের স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। ভোটার তালিকা হালনাগাদ এবং সীমানা নির্ধারণ না হওয়ায় ডিএনসিসি’র মেয়র নির্বাচন স্থগিত হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ডিএনসিসির নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে সরকারের করণীয় জানতে চাইলে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমি বিষয়টি কেবল শুনলাম। তবে হাইকোর্ট কেন নির্বাচন স্থগিত করেছেন তা আমি জানি না। বিষয়টি আমার কাছে পরিষ্কার নয়। তবে লোকমুখে শুনেছি, ভোটার লিস্ট সম্পন্ন হয়নি এবং সীমানা নির্ধারণ করা হয়নি।’

হাইকোর্টের এই স্থগিতাদেশে সিটি করপোরেশন পরিচালনায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হবে কিনা-প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না, অচলাবস্থার সৃষ্টি হবে না। কারণ প্যানেল মেয়র তো ভালোই চালাচ্ছেন। তবে মেয়রের পদ বেশিদিন খালি রাখা সম্ভব নয়। সে কারণে মেয়র মারা যাওয়ার পরপরই আমাদের দায়িত্ব ছিল পদটি শূন্য ঘোষণা করা। আমরা সেটা যথাসময়ে করেছি এবং তাদের নির্বাচন করার জন্য অনুমতিও দিয়েছি। এখন যদি সীমানা নির্ধারণ না হয় বা ভোটার তালিকা হালনাগাদ না হয় সেটা তো আমাদের দায়িত্ব না। এটা নির্বাচন কমিশনের কাজ। তারপরও আমরা বলেছি, এক্ষেত্রে যদি আমাদের কোনও সহযোগিতা লাগে তবে আমরা সেটা করবো। আমরা চাই দ্রুত নির্বাচন হোক।’

যথা সময়ে ডিএনসিসির নির্বাচন না হলে আইনগত কোনও সমস্যা আছে কিনা-জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আইনগত কোনও সমস্যা নেই। কারণ আইনি কাঠামো মেনেই তো প্যানেল মেয়র করা হয়েছে। প্যানেল মেয়র আমরা বাছাই করিনি। ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ করেছে। আমরা শুধু অনুমোদন দিয়েছি। তবে দুই একদিনের মধ্যে আমি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বসবো। হাইকোর্ট নির্বাচন কী কারণে স্থগিত করেছেন, এ বিষয়ে কী করা যায় সে বিষয়ে জেনে ব্যবস্থা নেব।’

আরও পড়ুন- ডিএনসিসি'র উপনির্বাচনে হাইকোর্টের তিন মাসের স্থগিতাদেশ