রোহিঙ্গা যাচাই করতে দুই মাস সময় নেবে মিয়ানমার

রোহিঙ্গা (ফাইল ছবি)

প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ চুক্তিস্বাক্ষর অনুযায়ী প্রতি রোহিঙ্গা পরিবারকে একটি ফরম পূরণ করতে হবে। এটি পূরণ করে দেওয়া হবে মিয়ানমারকে। জানা গেছে, সম্ভব হলে তারা দুই মাসের মধ্যে এগুলো যাচাই-বাছাই করবে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর বাংলাদেশকে মিয়ানমার জানাবে ও এর চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবার অনুযায়ী তাদের প্রত্যাবাসন হবে।



চার পৃষ্ঠার এই ফরমের প্রথম পাতায় পরিবারের প্রধানের তথ্য থাকবে। তার যে তথ্যগুলো দিতে হবে তা হলো— নাম, লিঙ্গ, জন্মস্থান, পিতা-মাতার নাম, স্ত্রীর নাম, জন্মতারিখ, মিয়ানমারে ঠিকানা, মিয়ানমারে পিতার ঠিকানা, মিয়ানমারে মাতার ঠিকানা, মিয়ানমারে স্ত্রীর ঠিকানা, পেশা, শারীরিক চিহ্ন, হোল্ডিং কার্ড নম্বর (যদি থাকে) ও পরিবারের সদস্য সংখ্যা কত। এছাড়া ফরমে নিজের ছবি, পরিবারের অন্য সদস্যের ছবি (ঐচ্ছিক), পুরো পরিবারের ছবি আর পাঁচ বছরের ওপরে প্রত্যেকের ডান ও বাম হাতের বুড়ো আঙুলের ছাপ দিতে হবে।
একই ফরমে পরিবারের সদস্যদের যেসব তথ্য দিতে হবে তা হলো— পুরো নাম, পিতা-মাতার নাম, জন্মতারিখ, জন্মস্থান, লিঙ্গ, শারীরিক চিহ্ন, পরিবার প্রধানের সঙ্গে সম্পর্ক, হোল্ডিং কার্ড নম্বর (যদি থাকে), অন্য কোনও ডকুমেন্ট (যদি থাকে)। যদি কোনও পরিবারে দত্তক সন্তান থাকে, তার তথ্যও এই ফরমে উল্লেখ করতে হবে।
ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্টে বলা আছে— রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন করবে ও যদি কোনও রোহিঙ্গার বয়স ১৮ বছরের নিচে হয় তাহলে তার ফেরত যাওয়ার ক্ষেত্রে পরিবার প্রধানের সম্মতিই যথেষ্ট বলে বিবেচিত হবে। ফেরত যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের তালিকা প্রত্যাবাসনের দুই সপ্তাহ আগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মিয়ানমার ও জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থাকে দেওয়া হবে।
প্রত্যাবাসনের আগে রোহিঙ্গাদের রি-সেটেলমেন্ট পরিকল্পনা, তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য কী সহায়তা দেওয়া হবে, তারা মৌলিক সুবিধা কী পাবে ও তাদের নিরাপত্তার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেসবের বিস্তারিত বাংলাদেশকে জানাবে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। এছাড়া যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রয়োজনে রাখাইন পরিস্থিতি দেখার জন্য মাঠপর্যায়ে যাবে।