প্রবাসীদের ভিসাগত জটিলতা, বিদেশ থেকে শ্রমিকের লাশ দেশে আনার প্রক্রিয়া, প্রবাসে বিপদ্গ্রস্ত নারীদের সেবাসহ যেকোনও সাহায্যের জন্য চালু করা হয় এই কল সেন্টার। পাশাপাশি হোয়াটস অ্যাপ, ম্যাসেঞ্জার, ভাইবার, ইমো’র মাধ্যমেও সেবার সুযোগ ছিল। কিন্তু এটুআই থেকে সরে আসায় বর্তমানে শুধু দু’টি নম্বর ০১৭৮৪৩৩৩৩৩৩ এবং ০১৭৯৪৩৩৩৩৩৩ দিয়ে নতুন স্থায়ী কল সেন্টার চালু করা হয়েছে প্রবাস কল্যাণ ভবনে।
জানা গেছে, এটুআই’র অধীনে কল সেন্টারে সরাসরি মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপের সুযোগ কম ছিল। প্রবাসীদের যেকোনও সমস্যা সমাধানে তাই সময় নেওয়ার প্রয়োজন হতো। প্রবাসীরা আগে কল সেন্টারে অভিযোগ দিলে তা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডকে আবার জানাতে হতো। তাই এর মাঝে অনেক সময় ব্যয় হতো।
প্রবাসীরা যেন সরাসরি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে তাদের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে পারে, সে লক্ষ্যে এই কল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকেই শুরু হয়েছে এই কল সেন্টারের সেবা কার্যক্রম। কিন্তু এই কল সেন্টারের সেবা পাওয়া যায় শুধু সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত।
সরজমিনে দেখা যায়, প্রবাস কল্যাণ ভবনে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড কার্যালয়ের ঠিক নিচের ফ্লোরে নতুন এই কল সেন্টার। সেখানে একটি কম্পিউটার ও দু’টি ফোন রয়েছে। কলসেন্টারে দায়িত্ব পালন করছেন মাত্র ২ জন, তারা কল রিসিভ করেন। সমস্যা শুনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে ফোনটি ট্রান্সফার করে দেন।
এ কল সেন্টার চালু হওয়ার ৭ দিনের মধ্যে কল এসেছে ২৯৫টি যার মধ্যে ২০০টি সমস্যার সমাধান করা হয়েছে বলে জানান বোর্ডের তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক জাহিদ আনোয়ার। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে এটুআই থেকে সরে আসার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছিলাম। কিন্তু নানারকম জটিলতা আর আর্থিক সমস্যায় নিজেরাই এখানে কল সেন্টার তৈরি করেছি। এখানে কল সেন্টার থাকলে সুবিধা, প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানের জন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা যায়। কিন্তু আগের ব্যবস্থায় সে সুযোগ ছিল না।’
নতুন এ কল সেন্টার সম্পর্কে ইতোমধ্যে দেশের সব কয়টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) এবং দেশের বাইরে অবস্থিত বাংলাদেশি মিশনগুলোয় লিফলেট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।