রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম কামরুল হক সিদ্দিকী। সঙ্গে ছিলেন পার্থ সারথি মণ্ডল ও জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম।
পার্থ সারথি মণ্ডল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, 'গতকাল বুধবার ঢাকা দক্ষিণ সিটির বাসিন্দা মোজাম্মেল মিয়া নতুন সংযোজিত ১৮টি ওয়ার্ডের নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট দায়ের করেন। ওই রিটে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) বিধিমালা ২০১০ এর বিধি ২৬ অনুযায়ী নির্বাচনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিলো। আদালত আমাদের রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে ওই ১৮টি ওয়ার্ডের নির্বাচন স্থগিত করেন।'
আদালতের বেঞ্চ অফিসার মনিরুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ডিএসসিসি'র ১৮টি ওয়ার্ডের নির্বাচন চার মাসের জন্য স্থগিত করেছেন আদালত।
এর আগে ডিএসসিসি’র নতুন সংযোজিত ১৮টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে স্থানীয় ভোটার আক্তার হোসেনসহ আট জন আরেকটি রিট দায়ের করেন। গত ১৪ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট দায়ের করা হয়। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ঢাকার জেলাপ্রশাসকসহ (ডিসি) ১৮ জনকে বিবাদী করা হয়।
এর আগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উপনির্বাচন স্থগিত চেয়ে পৃথক দুটি রিট দায়ের করেছিলেন ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও বেরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম। ওই রিটের শুনানি শেষে বুধবার হাইকোর্ট ডিএনসিসির মেয়র পদে উপনির্বাচন ও সম্প্রসারিত ১৮টি ওয়ার্ডের সাধারণ নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি এ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।
ডিএসসিসি’র নতুন সংযোজিত ১৮টি ওয়ার্ডের নির্বাচন স্থগিত চেয়ে ওই রিটকারীরা তাদের যুক্তি দেখিয়ে বলেছে, ডিএসসিসিতে ১৮টি ওয়ার্ড নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। নতুনভাবে যুক্ত হওয়া এসব ওয়ার্ডের ভোটাররা কোনও মেয়রকে ভোট দিতে পারবে না। এছাড়া কাউন্সিলররা নির্বাচিত হবেন মাত্র দুই বছরের জন্য, যা আইন অনুমোদন করে না। পাশাপাশি যারা এবার হালনাগাদে ডিএসসিসি’র নতুন ভোটার হয়েছেন, তারা কাউন্সিলর পদে ভোট দিতে পারবেন কিন্তু প্রার্থী হতে পারবেন না। এটা সংবিধান পরিপন্থী।