রবিবার থেকে ফের কর্মবিরতিতে যাচ্ছে সব পৌরসভা

১৩ নভেম্বর বান্দরবান পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি পালন (ফাইল ছবি)

সরকারি কোষাগার থেকে পেনশন ও বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার দাবিতে আগামী রবিবার (২৮ জানুয়ারি) থেকে ফের একযোগে তিন দিনের লাগাতার কর্মবিরতিতে যাচ্ছে দেশের সবক’টি পৌরসভা। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএপিএস) সভাপতি মো. আব্দুল আলিম মোল্যা ও সাধারণ সম্পাদক মো. সহিদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মো. আব্দুল আলিম মোল্যা ও মো. সহিদুল ইসলাম জানান, দেশে ৩২৭টি পৌরসভা রয়েছে। এসব পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পৌরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে বেতন-ভাতা পান। কিন্তু অনেক পৌরসভা রয়েছে, যে পৌরসভাগুলোর নিজস্ব আয় নেই। এসব পৌরসভা নিজেদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে পারে না। সেজন্য সব পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকারি কোষাগার থেকে পেনশনসহ বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে বিএপিএস। এ দাবিতেই আগামী রবিবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকাল ৫টা পর্যন্ত ৩দিন দেশের সব পৌরসভার সেবা বন্ধ করে কর্মবিরতি পালন করা হবে। কর্মবিরতির সময়ে অংশগ্রহণকারীদের কেবল পানি সরবরাহ করা হবে।

এই দুই নেতা বলেন, দেশের ৩২৭টি পৌরসভার মধ্যে ২২৬টির বেতন-ভাতা অনিয়মিত। নানা কারণে পৌরসভাগুলো নাগরিকদের সেবা দিয়ে নিজেদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে হিমশিম খায়। এসব পৌরসভায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২-৫৮ মাসের বেতন-ভাতা বাকেয়া রয়েছে। সব মিলিয়ে পৌরসভাগুলোতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৫১৬ কোটি টাকার বেশি বকেয়া রয়েছে। বছরে সবক’টি পৌরসভার জন্য প্রয়োজন ৬২০ কোটি টাকা। সরকার চাইলে এ টাকা সরকারি কোষাগার থেকে সরবরাহ করতে পারে।

তারা আরও জানান, ৩২৭টি পৌরসভায় ৩২ হাজার ৫০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। এর মধ্যে ৭৬৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী অবসরে যাওয়ার পরও এখনপর্যন্ত পেনশন পাননি। দেশের ইউনিয়ন পরিষদগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ৭৫ শতাংশ বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হলেও পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সরকারি বরাদ্দ মাত্র দশমিক ৪ শতাংশ। সরকারকে এ বরাদ্দ বাড়াতে হবে।

এর আগে চলতি মাসের ১৫ তারিখ সকাল ৬টা থেকে কর্মবিরতিতে যায় দেশের সবক’টি পৌরসভা। কিন্তু প্রথম দিন দুপুরের পর সরকারের শীর্ষপর্যায় থেকে আশ্বাস পেয়ে তা প্রত্যাহার করা হয়। বলা হয়, যদি ১৫ দিনের মধ্যে দাবি পূরণ না হয়, তবে ২৮ জানুয়ারি থেকে আবারও অনির্দিষ্টকালের জন্য সব পৌরসভায় একযোগে সেবা বন্ধ রাখা হবে। এছাড়া দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন পালন করা হবে।