মাঘের বিদায়ে বসন্তের ছোঁয়া লেগেছে বইমেলায়। বাসন্তি রঙের পোশাক আর মাথায় ফুলের টিয়ারা নিয়ে সাহিত্যপ্রেমীরা ভিড় জমিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিকাল তিনটায় বইমেলা শুরু হলেও তার কিছুক্ষণ আগ থেকেই প্রতিটি প্রবেশমুখে ছিল দীর্ঘ লাইন। গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গেই বইপ্রেমীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে মেলা প্রাঙ্গণ। বিভিন্ন রঙে সাজগোজ আর বিচরণে বোঝা যায়, এখন আর শুধু বাসন্তি রঙেই থেমে নেই ফাগুনের উৎসব।
মঙ্গলবার (১৩ জানুয়ারি) বিকাল থেকেই বইমেলায় তিল ধারণের জায়গা নেই। বসন্তের এই দিনে বইমেলা অন্য একরকম প্রাণ পেয়েছে। ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষদের ভিড় মনে করিয়ে দেয়— সাহিত্য এখন শুধু নির্দিষ্ট বয়সে সীমাবদ্ধ নয়। বইমেলায় দর্শক সামাল দিতে রীতিমত হিমসিম খাচ্ছে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলো। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ থেকে শুরু করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পর্যন্ত সর্বত্রই ছড়িয়ে আছে দর্শক। বাসন্তি রঙের শাড়ি পড়ে মাথায় ফুলের টিয়ারা লাগিয়ে উৎসবে সামিল হতে অনেকে এসেছেন দূর থেকেও।
ফাগুনের এই প্রথম দিনে প্রিয় লেখকের বই খুঁজতে স্টলে স্টলে ভিড় জমাচ্ছেন ভক্তরা। সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা যায় অন্যপ্রকাশের স্টলে। হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের চাহিদা এখনও বেশ তুঙ্গে বলে জানান অন্যপ্রকাশের বিক্রেতারা। অন্যদিকে, অন্বেষা প্রকাশনীর ব্যবস্থাপক জানান, ক্রেতাদের চাপে কথা বলাও মুশকিল। তবে একফাঁকে তিনি এই প্রতিবেদককে জানালেন, মেলায় উপন্যাসের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
কেরানিগঞ্জ থেকে মেলায় ঘুরতে এসেছেন ফাহিমা। তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মূলত বই কিনতেই তিনি মেলায় এসেছেন। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘বইমেলার পাশাপাশি বসন্ত উৎসবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। সেগুলো দেখতে এসেছি। প্রিয় লেখকদের কিছু বইও কেনার ইচ্ছা আছে।’