বিশেষ অধিকার ক্ষুণ্নের নোটিশের ভবিষ্যৎ জানতে চেয়েছেন শামীম ওসমান

সংসদে শামীম ওসমানঅধিকার ক্ষুণ্নের নোটিশ দিয়ে কোনও সুরাহা না পেয়ে সংসদে আবারও ক্ষোভ প্রকাশ করলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে নির্বাচিত সরকারি দলের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।  একবছর আগে দেওয়া নোটিশের জবাব না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করে নোটিশের ভবিষ্যৎ জানতে চান সরকারি দলের এই সদস্য।  বৈঠকে সভাপতির দায়িত্বে থাকা স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জবাবে বলেন, ‘বিশেষ অধিকার সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে আপনারটিসহ আরও কিছু নোটিশ পেন্ডিং রয়েছে। এগুলোর সিদ্ধান্ত জানানো হবে ।’
এর আগে বৃহস্পতিার সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে নিজের নোটিশের প্রসঙ্গ টেনে শামীম ওসমান স্পিকারকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘মাননীয় স্পিকার আপনি অবগত আছেন একবছর আগে কিছু পত্রিকায় প্রকাশিত নিউজের কারণে অধিকার ক্ষুণ্নের নোটিশ দিয়েছিলাম। একবছর পেরিয়ে গেছে কোনও রেজাল্ট পাইনি।’
কোনও পত্রিকার নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘যেসব পত্রিকা আমাদের বিরুদ্ধে লিখেছিল, বিশেষ করে যে পত্রিকাটি বা যে পত্রিকার গ্রুপটি ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল, অথবা নবী করিম (সা.) কে নিয়ে  ব্যাঙ্গ চিত্র এঁকেছিল, অথবা আমার মহান নেত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দাঁড় করিয়েছিল, গত কয়েকদিন ধরে দেখছি, তারা নতুন করে আবারও আমাদের বিভিন্ন সংসদ সদস্যের চরিত্র হনন শুরু করেছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশে সৎ সাংবাদিকতা ৯৯ শতাংশ। এক শতাংশ অসৎ, যারা সংবাদ মাধ্যমকে রাষ্ট্র ক্ষমতা পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চায়। গত কিছুদিন ধরে দেখছি, বিভিন্ন আকার ইঙ্গিতে বিভিন্ন ধরনের নিউজ করে দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। তারা কিন্তু বারবার আমাদের ক্ষত-বিক্ষত করবে। আমি এদের সঙ্গে লড়াই করতে অভ্যস্ত। কারণ, আমি সত্যের সঙ্গে আছি। জানতে চাই, অধিকার ক্ষুণ্নের নোটিশটির ভবিষ্যৎ কী।’

জবাবে স্পিকার বলেন, ‘আপনার নোটিশ গ্রহণ করা হয়েছিল। বিশেষ অধিকার কমিটিতে পেন্ডিং আছে। আরও কয়েকটি বিশেষ অধিকারের নোটিশ এসেছে। সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

শামীম ওসমান গত অধিবেশনে (১৬ নভেম্বর) সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে এই বিষয়টি নিয়ে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান। একইসঙ্গে সংসদ সচিবালয়কে নোটিশটি স্পিকারের গোচরে আনার পরামর্শ দেন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি শামীম ওসমান অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন, বাংলা দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি অবজারভারের বিরুদ্ধে বিশেষ অধিকার ক্ষুণ্নে নোটিশ আনেন। তবে বাংলা ট্রিবিউন ও প্রথম আলোর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বিশেষ অধিকার ক্ষুণ্নের শর্তাবলী পূরণ না হওয়ায়, স্পিকার তা গ্রহণ করেননি। অন্যদিকে অবজারভারের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ আরেকজন সংসদ সদস্য  আগেই আনায়, তা বিশেষ অধিকার ক্ষুণ্ন সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিকে পাঠানো হয়।