চা শ্রমিকদের বাড়ি বানাতে ২ শতাংশ হারে ঋণের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ছবি)

চা শ্রমিকদের ঘরবাড়ি নির্মাণে চা বাগান মালিকদের ২ শতাংশ হারে গৃহায়ন ঋণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত চা প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চা বাগান মালিকদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ ঘোষণা দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চা একটি জনপ্রিয় পানীয়। দেশ বিভাগের আগে সিলেটের মালনীছড়ায় চা বাগান ছিল। সেখানে উপমহাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকদের এনে চায়ের চাষ করানো হতো। ১৯৫৬ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকার গঠন করে। শাসনতন্ত্র রচনা করে। কিন্তু, বঙ্গবন্ধু সে সরকার থেকে এক বছর পর দল গোছানোর জন্য বেরিয়ে যান। এরপর তাকে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়। তিনিই শ্রীমঙ্গলে চা বোর্ডের অফিস প্রতিষ্ঠাসহ মতিঝিলে এর একটি অফিস করেন। সেই জায়গায় আজ বহুতল ভবন করার জন্য আমি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে এসেছি। চা বাগান মালিকদের ১০০ বিঘা পর্যন্ত জমির মালিকানা সংরক্ষণে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে চা উৎপাদনেও আমরা যথেষ্ট উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। চা মালিকদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষেতে জেনারেটরের ওপর থেকে ট্যাক্স তুলে নেই। চা শ্রমিক ও তাদের পরিবারের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গর্ভবর্তী মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করি।

এসময় চা বাগান মালিকদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে চা শ্রমিকদের ঘরবাড়ি নির্মাণের ওপরে গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, আমরা আশ্রয়ণ প্রকল্প করেছি। কেউ কুঁড়েঘরে থাকবে না। চা শ্রমিকরাও যাতে ঘরবাড়ি পায় সেজন্য গৃহায়ন তহবিল থেকে  ২% সার্ভিস চার্জের মাধ্যমে চা বাগান মালিকদের ঋণ দেওয়া হবে। এই ঋণ ৫% এর ওপর আদায় করা যাবে না। আর গৃহায়ন তহবিলের শর্ত অনুসারে, প্রতিটি বাড়িতে বিনা খরচে একটি করে স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা নির্মাণ করে দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘যারা গৃহহারা, তাদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প করে দেবো। বাংলাদেশে একটা মানুষও গৃহহারা থাকবে না।  এছাড়া টি-বোর্ডের মাধ্যমেও আমরা সরকারের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের ঘর বানিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি।’

এসময় তিনি চা শ্রমিকদের মঙ্গলের প্রতি দৃষ্টি দিতে চা বাগানের মালিকদের প্রতি আহ্বান  জানান। পাশাপাশি চা শ্রমিকদের প্রতি অনুরোধ করেন, যেখান থেকে জীবিকা হচ্ছে সেই বাগানের প্রতি তারা যেন যথেষ্ট যত্নবান হন।