ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগের সুযোগ কমানো হবে: আইনমন্ত্রী





আইনমন্ত্রী আনিসুল হক (ফাইল ছবি)তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন অপপ্রয়োগের যে সুযোগ ছিল, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তা কমিয়ে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, এ আইনের অপপ্রয়োগের সুযোগ আরও কমানোর দরকার হলে সরকার সেটাও করবে।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো’র সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, যারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে কথা বলছেন, যারা এ আইনের বিশেষ ধারা নিয়ে কথা বলছেন, আইনটি কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করার জন্য প্রণয়ন করা হয়নি।
মিয়া সেপ্পো’র সঙ্গে বৈঠকে বৈষম্য বিরোধ আইন, সাক্ষী সুরক্ষা আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, মানবাধিকার কমিশন, নারী-পুরুষের সম অধিকারসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। এসব বিষয়ে সরকার কোনও সহযোগিতা চাইলে ইউএনডিপি তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলে মিয়া সেপ্পো আইনমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন।


আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় নিয়ে বিএনপি কী বলছে, তাতে কিছু আসে যায় না। সরকার আইনের কোনও ব্যত্যয় ঘটাচ্ছে কিনা, সেটি দেখার বিষয়। সরকার আইনের কোনও ব্যত্যয় ঘটায়নি।’ তিনি বলেন, ‘রায়ের কপি প্রদান আদালতের এখতিয়ার। বিচারক রায়ের কপি দেবেন কি দেবেন না, সেটি তার ব্যাপার।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘রায়ের কপি প্রস্তুত হলে বিচারক নিশ্চয়ই রায়ের কপি দেবেন। না দেওয়ার তো কারণ নেই। যে বিচারক রায় দিয়েছেন, তিনিও নিশ্চয়ই জানেন যে, এটা আপিল হবে।’
আনিসুল হক বলেন, ‘একজন আইনজীবী হিসেবে এটুকু জানি এবং বুঝি যে ৬৩২ পৃষ্ঠার রায়ের কপি তৈরি করতে একটু-আধটু সময় লাগবে। তবে বিচারক যদি অযৌক্তিক সময় নেন তাহলে আমি বলবো, তা নেওয়া উচিত নয়। যৌক্তিক সময় যদি নেন, তাহলে বিচারককে সে সময় দিতে হবে।’
রায় নিয়ে বিএনপি যে বক্তব্য দিচ্ছে তা সরকারকে বিপাকে ফেলার জন্য কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা যে সব বক্তব্য দিচ্ছেন সেটা হচ্ছে তাদের কল্পনাপ্রসূত বক্তব্য এবং সম্পূর্ণ মিথ্যা।’