‘একটি মামলার রায় হয়েছে, আরেকটির রায় এ বছর হবে’

শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন বিজিবির মহাপরিচালকবর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আবুল হোসেন বলেছেন, ‘মামলার বিষয়ে আমরা খোঁজ খবর রাখছি। এরই মধ্যে একটি মামলার রায় হয়েছে। বাকি মামলাটির রায় এ বছরই হবে বলে আমরা আশা করছি। আমাদের আইনজীবীরাও বলছেন এবারই কার্যক্রম শেষ হবে। তবে এজন্য সবার সহযোগিতা করতে হবে।’

রবিবার সকালে বনানী সামরিক কবরস্থানে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিজি বলেন, ‘আমরা টাইম টু টাইম খোঁজ নিচ্ছি। বিচারক, আইনজীবী সবাই চেষ্টা করছেন। এ বছরই আরেকটি মামলার রায় হবে বলে আমরা আশা করছি।’

পিলখানা হত্যাযজ্ঞের পর বাহিনীর নিজস্ব আইনে  বিচার করে অনেককেই বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া ছাড়াও আরও  ৪২৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। পরে গত বছরের (২০১৭) ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিলের রায়ে ১৫২ জনের মধ্যে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখা হয়। ৮ জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও চারজনকে খালাস দেওয়া হয়। নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ পাওয়া ১৬০ জনের মধ্যে ১৪৬ জনের সাজা বহাল রাখা হয়। হাইকোর্টে আপিল চলার সময়ে কারাগারে থাকা অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়। খালাস পান ১২ জন আসামি। নিম্ন আদালতে খালাস পাওয়া ৬৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ যে আপিল করেছিল, তাদের মধ্যে ৩১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া সাত বছর করে চারজনকে কারাদণ্ড এবং ৩৪ জনের খালাসের রায় বহাল রাখা হয়। এ মামলার সাড়ে ৮০০ আসামির মধ্যে আরও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন জজ আদালত। তাদের মধ্যে ১৮২ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, আটজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড, চারজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং ২৯ জনকে খালাস দেন হাইকোর্ট।
বিভাগীয় মামলায় চাকরিচ্যুতসহ সাজা দেওয়া হয় আরও  অনেককে। ২০০৯ সালের নির্মম এ হত্যাযজ্ঞের পর পুরো বাহিনী বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। তবে বাহিনীর পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কলঙ্কিত সেই ইতিহাস ও ক্ষত ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে এখনও। বিদ্রোহীদের হাতে নিহতদের স্মরণে প্রতি বছর ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিজিবি ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়।