ঝন্টুর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের শোক

সরফুদ্দিন ঝন্টুরংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও সাবেক সংসদ সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি ঝন্টুর রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। রাষ্ট্রপতি রংপুর নগরীর উন্নয়নে ঝন্টুর অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, তার মৃত্যু রংপুর তথা সারাদেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুরবাসীর সার্বিক উন্নয়নে ঝন্টুর অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, তার মৃত্যু কেবল রংপুর নয়, সারাদেশের জন্যই বড় ধরনের একটি ক্ষতি।
শোকবাণীতে স্পিকার বলেন, শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু ছিলেন গণমানুষের নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী একজন রাজনীতিবিদ। তার মৃত্যু দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
এছাড়াও শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুর মৃত্যুতে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া এবং চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ গভীর শোক জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু আজ রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে রংপুরের স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয় ঝন্টুকে। সেখান থেকে তাকে ঢাকায় প্রথমে ল্যাব এইড হাসপাতাল ও পরে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। প্রায় ১৫ দিন বিএসএমএমইউয়ের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে গোটা রংপুরের রাজনৈতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্থানীয় রাজনীতিবিদ ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ গভীর শোক জানিয়েছেন তার মৃত্যুতে। বাসস।