ব্যবহার অনুপযোগী ইভিএম বিনষ্টীকরণে কমিটির সভা সোমবার

ইভিএম (ফাইল ছবি)ব্যবহার অনুপযোগী ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বিনষ্ট করতে গঠিত কারিগরি কমিটির সভা সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে। কমিটির সভাপতি ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সভা নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় উপস্থিত থাকার জন্য সিনিয়র মেইনটেনেন্স ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আশরাফুল হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠি রবিবার সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যদের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।

চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ২০১০ ও ২০১১ সালে সংগৃহীত ইভিএম সেট অকার্যকর করার লক্ষ্যে সোমবার বেলা ১১টায় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কমিটির সদস্যরা সংগৃহীত ইভিএম সেটের কার্যকারিতার বিষয়ে মতামত/সুপারিশ দেবেন।

জানা যায়, এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশনের সময় বুয়েটের সহায়তায় সহস্রাধিক ইভিএম কেনা হয়। যা এখন ব্যবহার না করায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া কোনও ত্রুটি হলে তা ঠিক করার মতো ইসির দক্ষ জনবলও নেই। এজন্য ইসি এগুলো অকার্যকর বা নষ্ট করে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে।

সূত্র জানায়, যেসব ইভিএম কাজ করার মতো অবস্থায় নেই, সেগুলো নষ্ট করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, এর আগে কমিশন সভায় এ বিষয়টি উপস্থাপন করা হলে নিজেরা সমালোচনা এড়াতে তা গ্রহণ করা হয়নি। বরং বিষয়টি নিয়ে কী করা যায় সেজন্য একটি কমিটি করে দেওয়া হয়। কমিটি যে সিদ্ধান্ত দেবে সে অনুযায়ী পরে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। কমিশন সভার ওই কার্যপত্রে বলা হয়, বর্তমান ইভিএমগুলো ফিনিশড প্রোডাক্ট নয় এবং এগুলো ৬ বছরের বেশি পুরনো হওয়ায় এর কার্যক্ষমতা নেই। এছাড়া, বিভিন্ন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সময়ে সৃষ্ট কারিগরি ত্রুটিগুলোর সমাধান করা হয়নি। ভবিষ্যতে ইভিএম ব্যবহারে কোনও কারিগরি ত্রুটি দেখা দিলে তা সমাধান করা দুরূহ হতে পারে। সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে বলে ইভিএমগুলো অকার্যকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।

এরপর ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হয়। এ নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে নতুন ইভিএম ব্যবহার করা হলেও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বেশ কিছুক্ষণ ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে।

সূত্র জানায়, ২০১০ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একটি ওয়ার্ডে প্রথম ইভিএম ব্যবহার করা হয়। পরে নায়ায়ণগঞ্জের কয়েকটি ওয়ার্ডে, নরসিংদী পৌরসভা ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের পুরো নির্বাচন ইভিএমে করা হয়। কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ কমিশন রাজশাহী ও রংপুরে ছোট পরিসরে ইভিএম ব্যবহার করার পর তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কয়েকটি নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সময় ঠিকমতো কাজ করছিল না। এগুলো পরিচালনাকারী কর্মকর্তারাও তা ঠিক করতে না পারায় কমিশনকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। এ কারণেই কর্মকর্তারা এগুলো পরিচালনায় অনাগ্রহী।