চীনা রাষ্ট্রদূতের অদ্ভুত আচরণ!

 

মা মিং চি (ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত)বাংলাদেশে কাজ করেছেন এমন চীনা রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে অন্যতম সফল মা মিংচিয়ান। তার দায়িত্ব পালনকালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশ সফর করেন। পাশাপাশি চীনের বেশ কিছু কোম্পানি বাংলাদেশে মেগা প্রজেক্টে কাজ পেয়েছে। এই সফল রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারও সঙ্গেই সৌজন্য সাক্ষাৎ না করে সম্প্রতি ঢাকা ত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে; যা এর আগে কখনোই ঘটেনি।

এ বিষয়ে সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন, চীনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ত্যাগের সময়ে অবশ্যই রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে দেশত্যাগ করে থাকেন। কিন্তু মা মিংচিয়ানের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম ঘটেছে।

গত ডিসেম্বরে চীন দূতাবাস থেকে জানানো হয়, বেইজিংয়ে এনভয় কনফারেন্সে যোগ দেওয়ার  জন্য মা মিংচিয়ান তার দেশে যাবেন। তখন দূতাবাস থেকে অনুরোধ করা হয়, যেহেতু রাষ্ট্রদূত অন্য একটি পোস্টিংয়ে যাবেন,  সেজন্য তিনি প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে চান।

চীনা দূতাবাসের ওয়েবসাইটে মা মিংচিয়ান সম্পর্কিত তথ্য

তাদের অনুরোধের ফলে জানুয়ারি মাসে তিনটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট করা হয় এবং চীনা দূতাবাসকে তারিখগুলো জানিয়ে দেওয়া হয়। 

প্রথমবার অ্যাপয়েন্টমেন্টের  আগে চীনা দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়,  রাষ্ট্রদূত এখনও আসেননি। তাই পরবর্তী তারিখ নির্ধারণের জন্য অনুরোধ করা হয়।

দ্বিতীয়বার অ্যাপয়েন্টমেন্টের আগে আবার যোগাযোগ করা হলে আবারও জানানো হয়, চীনের রাষ্ট্রদূত ঢাকায় নেই। এবারও পরবর্তী তারিখ নির্ধারণের অনুরোধ জানানো হয়।

রাষ্ট্রদূত তার ব্যক্তিগত জিনিসপত্র নিয়ে গেছেন কিনা, এটি জানতে চাওয়া হলে ইতিবাচক উত্তর দেওয়া হয়।

চীনা দূতাবাসের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, মা মিংচিয়ান ১৪ ডিসেম্বর আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ফেয়ারওয়েল কল অন করেছেন। ২১ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ফেয়ারওয়েল কল অন করেছেন। কিন্তু এরপর তার বিষয়ে আর কোনও কিছু লেখা নেই।

এ বিষয়ে চীনা দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনও রেসপন্স করেননি।