পাট খাতে অবদানের জন্য ১২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করবে সরকার

পাট, ফাইল ছবিপাট খাতে অবদানের জন্য সরকার ১২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।  

মির্জা আজম বলেন, ‘আগামী ৬ মার্চ বাংলাদেশে দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় পাট দিবস পালিত হবে। একইসঙ্গে তিন দিনব্যাপী পাটজাত পণ্যের মেলা হবে। এবার দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সোনালী আঁশের সোনার দেশ, পাট পণ্যের বাংলাদেশ’।

আগামী ৬ মার্চ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় পাট দিবসের মূল অনুষ্ঠান এবং ৬-৮ মার্চ তিন দিনব্যাপী পাটজাত পণ্যের মেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি আরও বলেন, ‘এবারের মেলায় সেরা পাটচাষি, বীজ উৎপাদনকারী, বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনকারী সেরা পাটকল, পাটজাত পণ্য উৎপাদনকারী সেরা পাটকল, পাটজাত পণ্য উৎপাদনকারী সেরা বেসরকারি পাটকল, সেরা কাঁচা পাট রফতানিকারক, সেরা পাটজাত পণ্য রফতানিকারী প্রতিষ্ঠান, পাটের সুতা রফতানিকারক, বহুমুখী পাটজাত পণ্য রফতানিকারক, বহুমুখী পাটজাত পণ্য উৎপাদনকারী পাটকল এবং সর্বোচ্চ পাট সরবরাহকারী সহকারী প্রতিষ্ঠান ও সেরা বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনকারী উদ্যোক্তাসহ ১১টি ক্যাটাগরিতে ১২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেওয়া হবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা আজম বলেন, ‘সারাদেশে পাট খাতের মাত্র ৮ শতাংশ অবদান বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশনের (বিজেএমসি)। স্বাধীনতার ৪৮ বছরে বিজেএমসি মুনাফা করছে মাত্র দুই বছর। সামান্য লাভের মুখ দেখলেও ৪৬ বছর ধরে লোকসান দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। তারপরও বিজেএমসিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে পাটচাষিদের স্বার্থে। তা না হলে বেসরকরি পাটকল মালিকদের সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে পাট খাত ধ্বংস হয়ে যাবে। দেশি-বিদেশি চক্রান্ত পাট খাতকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’

তিনি আরও বলেন, ‘অতীতের সরকারগুলো বিজেএমসিকে সরকারস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে ২০১৪ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর আগের যেকোনও সময়ের তুলনায় বিজেএমসিতে দুর্নীতি কমেছে। ফলে বিজেএমসি’র লোকসান বছরে ১৮০ কোটি টাকা কমেছে।’

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পাটকলগুলোর সিবিএ নেতারা কাজ না করে বেতন নেন। কিন্তু সেদিন আজ আর নেই। প্রত্যেক পাটকলে সব সিবিএ নেতাকে দৈনিক ৮ ঘণ্টা না হলেও ৬ ঘণ্টা কাজ করে বেতন নিতে হয়।’