শীতলক্ষ্যা তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে পবার চার প্রস্তাব

 

‘দখল-দূষণ রোধ করে শীতলক্ষ্যা বাঁচাও, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও কারখানায় ইটিপি বাধ্যতামূলক করো’ শীর্ষক পবার মানববন্ধনশীতলক্ষ্যা নদী থেকে সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও নদী তীরবর্তী কলকারখানাগুলোতে বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) স্থাপন বাধ্যতামূলক করার দাবিতে চার দফা প্রস্তাব দিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)। শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দখল-দূষণ রোধ করে শীতলক্ষ্যা বাঁচাও, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও কারখানায় ইটিপি বাধ্যতামূলক করো’ শীর্ষক এক মানববন্ধনে পবা এসব সুপারিশ করে।  

মানববন্ধনে পবা’র পক্ষ থেকে চারটি প্রস্তাব তুলে বলা হয়,  নদীর স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। ময়লা-আবর্জনা ও রাসায়নিক বর্জ্যের দূষণ থেকে নদীটিকে (শীতলক্ষ্যা) রক্ষায় মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। দ্বিতীয়ত, নদী তীরবর্তী কারখানাগুলোকে বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) ব্যবহারে বাধ্য করতে হবে ও সবসময় চালু রাখতে হবে। তৃতীয়ত, নরসিংদীর পলাশসহ শীতলক্ষ্যার সর্বত্র সবধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার পাশাপাশি দখল ও দূষণের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। চতুর্থত,  গৃহস্থালির বর্জ্যসহ কোনও বর্জ্যই যেন নদীতে ও এর তীরবর্তী স্থানে না ফেলা হয়, সে ব্যাপারে সিটি করপোরেশনকে দায়িত্ব নিতে হবে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২২৮ মিটার শীতলক্ষ্যা নদীর ২০০ মিটার ইতোমধ্যে দখল করা হয়েছে। তারা বলেন, শীতলক্ষ্যার তীরে শিল্প প্রতিষ্ঠানের দখল ও দূষণের ফলে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে এই নদীটি। মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে এই এলাকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। বেকার হয়ে পড়েছে শত শত জেলে পরিবার।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, শীতলক্ষ্যা তীরে অবস্থিত কোম্পানিগুলো কৃষি জমি কিনে তাতে পরবর্তী সময় বর্জ্য, বালি ও মাটি ফেলে ভরাট করে কারখানার সীমানা বাড়িয়েছে। নদীর তীর-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ইটিপি থাকলেও বেশির ভাগ সময় তা বন্ধ রাখা হচ্ছে।

আয়োজক সংগঠক ছাড়াও মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাঁচাও শীতলক্ষ্যা নদী আন্দোলন, নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম (নাসফ), নোঙর, পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চ, বাংলাদেশ নিরাপদ পানি আন্দোলন (বানিপা), ইয়ুথ সান, জন উদ্দোগ, পুরান ঢাকা নাগরিক উদ্দোগ, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ, প্লান্ট এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড কেয়ারের  প্রতিনিধিরা।