মুহম্মদ জাফর ইকবালকে দেখতে সোমবার (৫ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে প্রায় ২৫ মিনিট অবস্থান করে তিনি আহত অধ্যাপকের সঙ্গে কথা বলেন, তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সেখানে সাড়ে ১২টার দিকে গিয়েছিলেন। একান্তে কথা বলেছেন প্রায় ২০-২৫ মিনিট। এ সময় সেখানে জাফর ইকবালের স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন হক এবং মেয়ে ইয়েশিম ইকবালও উপস্থিত ছিলেন।’
কী আলাপ করলেন জানতে চাইলে ইয়াসমিন হক বলেন, ‘সেখানে সিনিয়র চিকিৎসকরা অনেকে ছিলেন। সিলেটের ওসমানী মেডিক্যাল থেকে আজ পর্যন্ত কী হলো না হলো মেজর জেনারেল মোতাহার তার পুরোটা ব্রিফ করলেন। ওসমানী মেডিক্যাল খুবই ভালো কাজ করেছে। এখানে আসার পর পরশু রাতে সবাই ছিলেন, কীভাবে কেয়ার নিচ্ছেন–সেসব প্রধানমন্ত্রীকে তারা জানালেন। চিকিৎসকরা বলেছেন, এভরিথিং ইজ ফাইন।’
ইয়াসমিন হক আরও বলেন, ‘আজ থেকে তাকে রেগুলার ডায়েট দেওয়া হচ্ছে বলে চিকিৎসকরা জানালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি নিজে এখানে আনার (জাফর ইকবালকে) সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ, এখানে কেউ ডিস্টার্ব করতে পারবে না। এ কথার পর আমি উনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। আসলেই উনি খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং দ্যাট ওয়াজ গুড।’ প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়, জাফর ইকবাল হাসপাতালেই কয়েকদিন বিশ্রাম নেবেন।
প্রধানমন্ত্রী দেখতে যাওয়ায় জাফর ইকবাল বলেন, উনার মতো একজন মানুষ; আমি ছোট একটা মানুষ, আমাকে দেখতে এসেছেন। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি কিন্তু জাতির পিতার মেয়ে।
ইয়াসমিন হক বলেন, ‘উনি বঙ্গবন্ধুর মেয়ে, উনি কখনও ভুল সিদ্ধান্ত নেননি। এবার জাফর ইকবালের ক্ষেত্রে উনি যা করেছেন, আমি গ্রেটফুল। কেননা, এটি অসম্ভব দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত। কারণ, শিক্ষার্থীরা অনেক সময় আবেগপ্রবণ হয়ে যায় তো, ওরা সব শুনেটুনে ভেতরে (হাসপাতালের) ঢুকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সে কারণে এই জায়গাটা ভালো ছিল।’
স্যার এখন কেমন আছেন জানতে চাইলে অধ্যাপক ইয়াসমিন হক বলেন, ‘এখন মাশাল্লাহ একদম ভালো, আপনারা দোয়া করবেন। তিনি এখানে (সিএমএইচ) কয়েকদিন রেস্ট নেবেন। কোনও ধরনের সংক্রমণের শিকার যেন না হন, সেজন্যই এখানে রাখা হবে।’