প্রস্তাবিত ৩৮টি আসনে উপজেলার অখণ্ডতা, প্রশাসনিক এলাকা যোগ ও বিলুপ্ত ছিটমহল যোগ করা হয়েছে। এতে কোনও জেলার আসন সংখ্যা বড়েনি বা কমেনি। হেরফের হয়নি ঢাকা মহানগরীর আসনেও। তবে, ঢাকা ৭ আসনে নতুন করে কয়েকটি ওয়ার্ড যুক্ত হয়েছে।আর ঢাকা ১৪ আসনে যুক্ত থাকা সাভারের একটি ইউনিয়ন বাদ দেওয়া হয়েছে। আগের খণ্ডিত কেরানীগঞ্জ উপজেলা ও অখণ্ডিত হয়ে একটি আসনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
খসড়া সংসদীয় আসনে নীলফামারী ৩ ও ৪ আসনে পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে থাকা জলঢাকা উপজেলা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচণ্ডি, বড় ভিটা ও পুটিমারী ইউনিয়ন নিয়ে নীলফামারী ৩ আসনে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এদিকে, কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচণ্ডি, বড় ভিটা ও পুটিমারী ইউনিয়ন বাদ দিয়ে বাকি ইউনিয়ন ও সৈয়দপুর উপজেলা নীলফামারী-৪ আসনে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। খসড়ায় নীলফামারী ৩ আসনে কেবল জলঢাকা উপজেলাকে রাখা হয়েছে এবং কিশোরগঞ্জ পুরো উপজেলা ও সৈয়দপুর উপজেলা ৪ আসনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
বর্তমানে গঙ্গাচড়া উপজেলাকে নিয়ে গঠিত রংপুর-১ আসনে পরিবর্তন এনে এই উপজেলার পাশাপাশি রংপুর সিটি করপোরশেনের ১ থেকে ৮ পর্যন্ত ওয়ার্ডকে যুক্ত করা হয়েছে। একইভাবে রংপুর-৩ আসনের বর্তমানের সদর উপজেলা ও সিটি করপোরেশনভুক্ত সংশ্লিষ্ট এলাকার স্থলে সদর উপজেলা এবং ১ থেকে ৮ পর্যন্ত ওয়ার্ড বাদে সিটির বাকি ওয়ার্ড যুক্ত করা হয়েছে। রংপুর-৪ আসনে বিদ্যমান সিটি করপোরেশনভুক্ত এলাকা বাদ দিয়ে পীরগাছা ও কাউনিয়া উপজেলা নিয়ে গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রাম-৩ আসনটি বর্তমানে উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয়েছে। এই উপজেলা দু’টির কিছু ইউপি যুক্ত রয়েছে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে। খসড়া আসনে কেবল উলিপুর উপজেলা নিয়ে কুড়িগ্রাম-৩ এবং রৌমারী, রাজিবপুর চিলমারী উপজেলা নিয়ে কুড়িগ্রাম-৪ আসন গঠনের কথা বলা হয়েছে।
বিদ্যমান আসন সীমানায় পাবনা-১ আসনে হয়েছে সাথিয়া উপজেলা ও বেড়ার কয়েকটি ইউনিয়ন নিয়ে। একইভাবে পাবনা-২ আসনে রয়েছে সুজানগর ও বেড়ার বাকি ইউনিয়নগুলো। খসড়া সংসদীয় আসনে একক সাঁথিয়া উপজেলা নিয়ে নিয়ে পাবনা-১ এবং সুজানগর ও বেড়া উপজেলা নিয়ে পাবনা-২ আসন গঠনের কথা বলা হয়েছে।
সীমানায় শ্রীপুর ও সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন নিয়ে মাগুরা-১ এবং সদরের বাকি ইউপি ও মহম্মদপুর এবং শালিখা উপজেলা নিয়ে মাগুরা-২ আসন গঠিত রয়েছে। নতুন সীমানায় মাগুরা-১ এর সাথে শ্রীপুর ও সদর উপজেলার পুরো অংশ যুক্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে মাগুরা-২ থেকে সদরের ওই ইউনিয়নগুলো বাদ দিয়ে মহম্মদপুর ও শলিখা উপজেলাকে রাখা হয়েছে।
খুলনা-৩ আসনে পরিবর্তন এনে সিটি করপোরেশনের ১ থেকে ১৫ ওয়ার্ড এবং দিঘলিয়া উপজেলার আড়ংঘাটা ও যোগীপোল ইউনিয়ন এবং খুলনা-৪ আসনে উপরোক্ত দুই ইউপি বাদে দিঘলিয়া উপজেলা, রূপসা ও তেরখাদা উপজেলা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
খসড়া সংসদীয় আসনে সাতক্ষিরা-৩ আসন থেকে কালিগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়নগুলো বাদ দিয়ে কেবল আশাশুনি ও দেবহাটা উপজেলাকে রাখা হয়েছে। আর সাতক্ষিরা-৪ আসনে সম্পূর্ণ কালীগঞ্জ উপজেলা ও শ্যামনগর উপজেলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
জামালপুর-৪ আসনে সদর উপজেলার বিদ্যমান দু’টি ইউনিয়ন বাদ দিয়ে কেবল সরিষাবাড়ী উপজেলা এবং জামালপুর-৫ আসনের পুরো সদর উপজেলা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ঢাকা-২ আসনে বিদ্যমান কেরানীগঞ্জ উপজেলার আংশিক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কয়েকটি ওয়ার্ড ও সাভার উপজেলার অংশ বিশেষের স্থলে গোটা কেরানীগঞ্জ উপজেলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একইভাবে ঢাকা-৩ আসনে সাভার পৌরসভা এবং সদর, বিরুলিয়া, তেঁতুলঝোড়া, বনগাঁও, ভাকুর্তা ও আমিনবাজার ইউনিয়ন; ঢাকা-৭ আসনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৩ থেকে ৩৩ এবং ৩৫, ৩৬, ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড, ঢাকা-১৪ আসনে সভার উপজেলার কাউন্দিয়া ইউনিয়ন বাদ দিয়ে কেবল উত্তর সিটি করপোরেশনের ৭ থেকে ১২ পর্যন্ত ওয়ার্ড; ঢাকা-১৯ আসনে সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার অন্তর্গত ৫টি ইউনিয়ন ও সাভার ক্যান্টনমেন্ট এলাকা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আলীনগর ও গোগনগর ইউপি বাদে সদর উপজেলা এবং সিটি করপোরেশনর্ভুক্ত ১ থেকে ১০ পর্যন্ত ওয়ার্ড এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সদর উপজেলার উপরোক্ত দু’টি ইউনিয়ন ও বন্দর উপজেলা এবং সিটি করপোরেশনের ১১ থেকে ২৭ পর্যন্ত ওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
শরীয়তপুর-২ আসনে ভেদরগঞ্জ ও নড়িয়া উপজেলা এবং শরীয়তপুর-৩ আসনে ডামুড্যা ও গোসাইরগাট উপজেলা; মৌলভীবাজার-২ আসনে কুলাউড়া উপজেলা এবং মৌলভীবাজার-৪ আসনে শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলা; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে নবীগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা, কুমিল্লা-১ আসনে দাউদকান্দি ও তিতাস উপজেলা, কুমিল্লা-২ আসনে হোমনা ও মেঘনা উপজেলা, কুমিল্লা-৬ আসনে আদর্শ সদর উপজেলা, সিটি করপোরেশন ও কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা এবং কুমিল্লা-১০ আসনে সদর দক্ষিণ, লালমাই ও লাঙ্গলকোর্ট উপজেলা; নোয়াখালী-৪ আসনে সুবর্ণচর ও সদর উপজেলা, নোয়াখালী-৫ আসনে কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলা এবং চট্টগ্রাম ৭ আসনে রাংগুনিয়া ও চট্টগ্রাম-৮ আসনে বোয়ালখালী উপজেলা ও সিটি করপোরেশনের ৩ থেকে ৭ পর্যন্ত ওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।