ঢামেকের বার্ন ইউনিটে মেহেদী, স্বর্ণা ও অ্যানি

আহত স্বর্ণা, মেহেদী ও অ্যানি (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় আহত মেহেদী হাসান, তার স্ত্রী সৈয়দা কামরুন নাহার স্বর্ণা ও মেহেদীর ভাবি আলমুন নাহার অ্যানি দেশে ফিরেছেন। তাদেরকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স বিকাল পৌনে ৫টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পৌঁছায়। এ তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে সেখানকার বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান আহত তিনজন। এরপর তাদের নিয়ে রওনা দেয় ইউএস-বাংলার একটি অ্যাম্বুলেন্স। ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।

আহত আলমুন নাহার অ্যানি (ছবি-সাজ্জাদ হোসেইন)এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) বিকালে নেপাল থেকে দেশে নিয়ে আসা হয় দুর্ঘটনায় আহত শাহরিন আহমেদকে। তাকেও ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রাখা হয়েছে।

আহত মেহেদী হাসান (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)গত ১২ মার্চ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের আগ-মুহূর্তে পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। ৬৭ জন যাত্রীসহ ৭১ জন আরোহী ছিলেন ওই ফ্লাইটে। এর মধ্যে ৫১ জন নিহত হয়েছেন।

আহত সৈয়দা কামরুন নাহার স্বর্ণা (ছবি: সাজ্জাদ হোসেইন)ওই উড়োজাহাজে থাকা ৩২ যাত্রীসহ ৩৬ বাংলাদেশির মধ্যে ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত ১০ বাংলাদেশির মধ্যে সাতজন নেপাল কর্তৃপক্ষের অনাপত্তিপত্র পেয়েছেন। এর মধ্যে একজনকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর ইয়াকুব আলী ও ইমরানা কবীর হাসিকে শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় কাঠমান্ডুতেই রেখে দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।