খালেদা জিয়া কারাগারে থাকলে ক্ষতি নেই আ.লীগের

খালেদা জিয়া ও আওয়ামী লীগ

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে থাকলে রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আওয়ামী লীগ, জনগণের মাঝে এমন ধারণা থাকলেও তা মানতে নারাজ ক্ষমতাসীন দল। দলটির নেতারা বলছেন, খালেদা জিয়া কারাগারে থাকলে কোনও ক্ষতি হবে না, বরং তিনি বের হয়ে এলে তারা  ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা বলেছেন, খালেদা জিয়ার কারাগারে থাকা না থাকা পুরোটাই আদালতের বিষয়। প্রচলিত আইনে বিচার শেষে তার সাজা হয়েছে। তাকে জেলখানায় পাঠানো নিয়েও নানা শঙ্কা ছিল। শেষমেশ তিনি  জেলখানায় গেছেন, আর  ভয়-শঙ্কা কাটিয়ে সরকারও বিষয়টিকে সুন্দরভাবে সামাল দিতে পেরেছে। এখন খালেদা জিয়ার কারাগারে থাকা দীর্ঘ হলেও বিএনপির বেশি কিছু করার থাকবে না। কিন্তু তিনি বেরিয়ে এলে তার দল রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়াবে। তখন বিএনপির নেতাকর্মীরাও দাবি করবে—তাদের নেত্রীকে আটকে রাখা সম্ভব হয়নি। আর তা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, খালেদা জিয়া নির্বাচন পর্যন্ত আটক থাকলে ক্ষমতাসীনদের জন্য তা সুফল বয়ে আনবে। বিষয়টি আদালতের হলেও এখন আওয়ামী লীগ চাচ্ছে খালেদা জিয়া কারাগারেই থাক।

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকমণ্ডলীর তিন নেতা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘খালেদা জিয়া সুনির্দিষ্ট অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। জেল খাটছেন। তার মুক্তি কিংবা কারাগারে থাকা পুরোপুরি আদালতের এখতিয়ার। কিন্তু তিনি মুক্ত হলে আওয়ামী লীগের বেশিই ক্ষতি হবে।

তারা বলছেন, খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করবেন, বিএনপিতে এমন কোনও নেতা তৈরি হননি। তাছাড়া, খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে নির্বাচনে বিএনপি ছত্রভঙ্গ থাকবে, যা আওয়ামী লীগের রাজনীতির জন্য বড় ধরনের সুযোগ তৈরি করবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার কারামুক্তি পুরোপুরি আদালতের ব্যাপার। এই বিষয়ে আমাদের কিছুই করণীয় নাই।’ তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া মুক্ত হলে বরং ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে আমাদের।’

ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে জ্বালাও-পোড়াওয়ের রাজনীতি।’ তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া জেল থেকে বেরিয়ে এলে তাদের জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি আবারও শুরু হবে। তিনি (খালেদা) বের হলে বিএনপির আচরণ কী হবে, তা নিয়ে আমরা বরং আতঙ্কে আছি।’