পাইলট আবিদের স্ত্রী লাইফ সাপোর্টে

পাইলট আবিদ ও তার স্ত্রী আফসানা (ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট আবিদ সুলতানের স্ত্রী আফসানাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে আছেন তিনি। নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ড. সিরাজি শফিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, রবিবার (১৮ মার্চ) রাতে আরেকবার স্ট্রোক করেন আফসানা। এরপর তার আরেক দফা অপারেশন হয়। অপারেশন শেষে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।

ড. সিরাজি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আবিদ সুলতানের স্ত্রী আফসানা গতকাল (রবিবার) রাত ১১টার দিকে আবার স্ট্রোক করেন। তার অবস্থা ক্রিটিক্যাল দেখে আমরা আবার অপারেশন থিয়েটারে নিই। তার অপারেশন করা হয়। পরে আবার আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তিনি অবজারভেশনে আছেন। প্রথম থেকেই তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত না।’

আফসানার অবস্থা সংকটাপন্ন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তার অবস্থা প্রথম থেকেই ক্রিটিক্যাল। আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। তার ডায়াবেটিস আছে। এ কারণে অবস্থা আরও ক্রিটিক্যাল।’

কর্তব্যরত চিকিৎসক উজ্জল কুমার মল্লিক বলেন, ‘আফসানার সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সিঙ্গাপুরে নিলেও একই চিকিৎসা দিতেন।  তার কিডনি সচল রয়েছে। তবে তিনি বেঁচে আছেন। তিনি বর্তমানে কোমাতে আছেন। আগামী ৭২ ঘণ্টার আগে কিছুই বলা যাবে না।  সবাই তার জন্য দোয়া করেন।’
ডা. উজ্জল কুমার মল্লিক ( ডানে)
পাইলট আবিদ সুলতানের স্ত্রী আফসানার মাথার ডানপাশে রক্ত জমাট বাঁধার পর রবিবার সকালে জরুরি অপারেশন করা হয়। চিকিৎসকরা ওই অপারেশনের পর জানান, অপারেশন সাকসেসফুল হলেও তিনি শঙ্কামুক্ত নন।

আফসানার আত্মীয় শামীমা নার্গিস রবিবার জানান, গত কয়েকদিন যাবৎ তিনি সুস্থই ছিলেন। তবে রবিবার ভোরে তিনি ফোন করে দ্রুত বাসায় যেতে বলেন শামীমাকে। বাসায় যাওয়ার পর দেখতে পান আফসানা কথা বলতে পারছেন না, হাত-পা নেতিয়ে পড়েছে। প্রথমে তাকে উত্তরার একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে নিউরোসায়েন্সে আনা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুতে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত হন পাইলট আবিদ সুলতান। আজ সোমবার তিনিসহ ২৩ জনের মরদেহ দেশে আনা হচ্ছে।