আর্মি স্টেডিয়ামে মরদেহ, জানাজা সম্পন্ন

২৩ জনের জামাজানেপালে ইউএস-বাংলা বিমান বিধ্বস্তে নিহত ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে ২৩ জনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে আর্মি  স্টেডিয়ামে  তাদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বিমানবন্দর থেকে মরদেহগুলো জানাজা ও আনুষ্ঠানিকতার জন্য আর্মি স্টেডিয়ামে নিয়ে আসা হয়েছে। বিকাল পাঁচটার দিকে মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সগুলো বিমানবন্দর থেকে আর্মি স্টেডিয়ামে এসে পৌঁছায়।
আর্মি স্টেডিয়ামে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষ থেকে নিহতদের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তার সামরিক সচিব এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।



এদিকে আগে থেকেই নিহতদের স্বজনরা আর্মি স্টেডিয়ামে অপেক্ষা করছেন। স্টেডিয়ামজুড়ে শোকাবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

মরদেহ ঢোকানো হচ্ছে আর্মি স্টেডিয়ামে

 আইএসপিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মরদেহগুলো জানাজার পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এরআগে বেলা ৪টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১ নম্বর ভিভিআইপি টারমাকে পৌঁছায় বিমানবাহিনীর লাশবাহী একটি কার্গো বিমান। বিমানবন্দরে মরদেহগুলো গ্রহণ করেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও বিমানমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল।

উল্লেখ্য, ১২ মার্চ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় ৪৯ আরোহীর মৃত্যু হয়, যাদের মধ্যে চার পাইলট-ক্রুসহ ২৬ জন বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে ২৩ জনকে শনাক্ত করে আজ দেশে নিয়ে আসা হয়। এদিকে, রবিবার পর্যন্ত এ ঘটনায় আহত ১০ বাংলাদেশির মধ্যে ৬ জন দেশে ফিরেছেন। তারা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন। তারা হলেন শাহরিন আহমেদ মুমু, মেহেদী হাসান, সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা, আলমুন নাহার অ্যানি, রাশেদ রুবায়েত ও শাহিন ব্যাপারী। বাকি চারজন সিঙ্গাপুর, নেপাল ও ভারতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।