রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘কোনও মানুষই অপরাধী হয়ে জন্মায় না। পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ও পরিস্থিতিই মানুষকে অপরাধপ্রবণ করে তোলে। তাই কারাবন্দিদের মন থেকে অপরাধপ্রবণতা দূর করতে সংশোধনমূলক কর্মকাণ্ডের ভূমিকা অনস্বীকার্য। অপরাধের জন্য অনুশোচনাবোধে উদ্দীপ্তকরণ এবং সংশোধনমূলক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে কারাগারে আটক বন্দিদের প্রাথমিক ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রদানসহ বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান তাদের সমাজে পুনর্বাসনে ভূমিকা রাখবে।’
অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ‘জাতির জনকের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৭ সালে দেশের সব উপ-কারাগারকে জেলা কারাগার হিসেবে ঘোষণা করে। আমরা ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে কারাগারকে সংশোধনাগার হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘বন্দির হাতকে দক্ষকর্মীর হাতে রূপান্তরের লক্ষ্যে বন্দিদের বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। কারাগারগুলোতে কুটিরশিল্প ও বেকারি স্থাপন করা হয়েছে। কারাশিল্পে উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী বিক্রির টাকা থেকে লভ্যাংশের ৫০ শতাংশ বন্দিদের দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, যাতে কারাভোগ শেষে পুনরায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে না জড়িয়ে বন্দিরা প্রশিক্ষণ ও মূলধন নিয়ে নতুন কর্মজীবন শুরু করতে পারে।’
কারা সপ্তাহ ২০১৮ উপলক্ষে রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন জানান, কারা সপ্তাহের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে কাশিমপুর কারা প্রাঙ্গণে কারা সপ্তাহ উদ্বোধন, দোয়া মাহফিল, জাতীয় ও বিভাগীয় পতাকা উত্তোলন, সেরা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ, প্যারেড কমান্ডারদের শুভেচ্ছা বিনিময়, কারা কর্মকর্তাদের নৈশভোজ, আপ্যায়ন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সূত্র: বাসস।