বিশেষ সেবা সপ্তাহ পালন করছে রেলওয়ে

বাংলাদেশ রেলওয়েআজ ২০ মার্চ (সোমবার) থেকে আগামী ২৫ মার্চ (রবিবার) পর্যন্ত বিশেষ সেবা সপ্তাহ উদযাপন করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভের যোগ্যতা অর্জন করায়, এ বিষয়টি  উদযাপন করা হবে রেল বিভাগের পক্ষ থেকে। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০ থেকে ২৫ মার্চ সময়ে গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন, রেলওয়ে ভবন, বিভাগীয় ভবন আলোকসজ্জায় সজ্জিত থাকবে। ২২ মার্চ বেলা ৩টায় রেলওয়ের ঢাকায় কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারী, জিআরপি, আরএনবি, ব্যান্ড পার্টি এবং স্কাউট দল আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিস্টিটিউট সংলগ্ন এলাকায় জমায়েত হবেন। বিকাল ৪ টায় রেলওয়ের উন্নয়ন সংক্রান্ত ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রাটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, মৎস ভবন, কদম ফোয়ারা, আব্দুল গণি রোড, জিপিও হয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রবেশ করবে। এছাড়াও, রেলওয়ের উন্নয়ন সংক্রান্ত বুকলেট, লিফলেট, ব্রশিওর বিতরণ করা হবে। সব গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন ও ভবনে যেখানে টিভি স্ক্রিন আছে ও যে সব ট্রেনের বগিতে টিভি স্ক্রিন আছে, সেসব টিভি স্ক্রিনে রেলওয়ের উন্নয়নের ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে।

বিশেষ সেবা সপ্তাহ চলাকালে, সব গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে যাত্রী সেবায় স্কাউটস সদস্যদের নিয়োগ করা হবে। সব আন্তঃনগর, মেইল এক্সপ্রেস ও লোকাল ট্রেনের নির্ধারিত রেক এবং সব কোচের ভেতরের আসন, ফ্যান, পর্দা এবং টয়লেট, সব বিশ্রামাগার ও প্লাটফর্ম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ও হকারমুক্ত রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিশেষত, মহিলা, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীসহ অসুস্থ যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যময় ভ্রমণ এবং স্টেশনে আরামদায়ক অবস্থা নিশ্চিত করা এবং ট্রেন ও স্টেশনে ফার্স্ট এইড বক্স সবার দৃষ্টিগোচরে রাখা এবং এর মধ্যে রক্ষিত ওষুদ ও যন্ত্র হালনাগাদ রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

যাত্রীদের টিকিট পাওয়ার বিষয়টি দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করাসহ টিকিট প্রাপ্তিতে যাত্রীরা যেন হয়রানির শিকার না হয় তার প্রতি সার্বক্ষণিক দৃষ্টি রাখা হবে।

বিশেষ সেবা সপ্তাহ চলাকালে ট্রেনের ইঞ্জিনে, ছাদে, বাফারে এবং দরজার হ্যান্ডেলে ঝুলন্ত অবস্থায় ভ্রমণরত যাত্রীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ ট্রেনের দায়িত্বরত লোকোমাস্টার, গার্ড, রেলওয়ে পুলিশ এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদেরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে। এসময়, ট্রেনে মালামাল বুকিং, বোঝাই, পরিবহন ও গন্তব্য স্টেশনে খালাসে ব্যবসায়ীরা যেন হয়রানির শিকার না হয়, সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখাসহ ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করা হবে।

সূত্র: বাসস।