২০১৭-১৮ অর্থবছরের ২০তম এই সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে উপস্থাপিত ১৬টি (নতুন ও সংশোধিত) প্রকল্পের জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৬৮০ কোটি ৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল (জিওবি) ৯ হাজার ৫৯১ কোটি ৩ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে বরাদ্দ দেওয়া হবে ৮৯ কোটি ২ লাখ টাকা।
একনেক সভা সূত্রে জানা গেছে, অনুমোদিত বাকি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে— নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো/সুবিধাদির উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘সীমান্ত সড়ক (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা) নির্মাণ (প্রথম পর্যায়)’ প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (ঢাকা জোন)’ প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘ভবেরচর-গজারিয়া-মুন্সীগঞ্জ জেলা মহাসড়ক (জেড-১০৬৩) যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্প; স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘সিলেট সিটি করপোরেশনের অবকাঠামো নির্মাণ’ প্রকল্প; গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ‘নোয়াখালী সদরে সরকারি কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ’ প্রকল্প; ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ‘বাংলাদেশ ডাক অধিদফতরের সদর দফতর নির্মাণ (সংশোধিত)’ প্রকল্প; পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলাধীন তেতুঁলিয়া নদীর ভাঙন থেকে বকসী লঞ্চঘাট থেকে বাবুরহাট লঞ্চঘাট পর্যন্ত প্রতিরক্ষা ও ড্রেজিং এবং কুকরী-মুকরী দ্বীপ বন্যা নিয়ন্ত্রণ’ প্রকল্প।
একনেকে মঙ্গলবারের সভায় অনুমোদিত বাকি প্রকল্পগুলো হলো— পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘মেঘনা নদীর ভাঙন থেকে ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার লর্ড হার্ডিঞ্জ ও ধলিগৌরনগর বাজার রক্ষা’ প্রকল্প; পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘নোয়াখালী জেলার হাতিয়া ও সুবর্ণচর উপজেলাধীন স্বর্ণদ্বীপ (জাহাজ্যার চর) মেঘনা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষাকল্পে নদী তীর সংরক্ষণ’ প্রকল্প; কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘বিএডিসির উদ্যান উন্নয়ন বিভাগের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে উদ্যান জাতীয় ফসল সরবরাহ ও পুষ্টি নিরাপত্তা উন্নয়ন’ প্রকল্প; স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ‘এক্সপানশন অব ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটাল’ প্রকল্প; কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের ‘বাংলাদেশ ভূমি জরিপ শিক্ষার উন্নয়ন’ প্রকল্প; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ‘বাংলাদেশ সরকারের জন্য নিরাপদ ইমেইল ও ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার স্থাপন’ প্রকল্প এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ‘শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট, ঢাকা স্থাপন’ প্রকল্প।