বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাজধানীর ৯টি স্থান থেকে ৫৭টি মন্ত্রণালয়-বিভাগ ও অধীনস্থ দফতরগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ মানুষ শোভাযাত্রা নিয়ে যোগ দেন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সরকারি-আধাসরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অনেক মানুষ এসেছেন।
শোভাযাত্রাগুলোর নির্বিঘ্নে প্রবেশের সুবিধার্থে স্টেডিয়ামের চারপাশের সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ কারণে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও এর চারপাশে বিভিন্ন রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে মৎস্য ভবন হয়ে কদম ফোয়ারা, জাতীয় প্রেসক্লাব হয়ে পল্টন, শিশু একাডেমি থেকে আব্দুল গণি রোড হয়ে জিপিও এবং বাংলাদেশ ব্যাংক চত্বর থেকে দৈনিক বাংলা মোড় হয়ে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামমুখী প্রতিটি পথে যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
তবে এসব এলাকার যানবাহনের চাপ কমাতে শাহবাগ, কাকরাইল মসজিদ, নাইটিঙ্গেল মোড়, ফকিরাপুল, শাপলা চত্বর, গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়া, চাঁনখারপুল, বকশিবাজার, পলাশী, নীলক্ষেতে বিকল্প সড়কের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু বাস, গাড়ি ও মোটরসাইকেলের চাপ থাকায় এসব রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট।
এদিকে কাকরাইল মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের বিভিন্ন শোভাযাত্রা এই পথে প্রবেশ করছে। এজন্য এদিক থেকে যানবাহনগুলোকে পুরানা পল্টনের দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
গুলিস্তান মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা এমটিসিএল পরিবহনের চালক জহির উদ্দিন কথা বলেছেন বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে। যাত্রী নিয়ে জিরো পয়েন্টে আসার পরপরই সড়ক বন্ধ হয়ে যেতে দেখেছেন তিনি। তার ভাষ্য, ‘এরপর থেকে কয়েক ঘণ্টা একই স্থানে দাঁড়িয়ে আছি। এতে যাত্রীরা বিরক্ত হয়ে নেমে চলে গেছেন। কখন এই যানজট ছাড়বে জানি না।’
অবশ্য অন্য সড়কগুলোতে যানজট খুব একটা দেখা যায়নি। গণমাধ্যমকর্মী তোফাজ্জল হোসেন রুবেল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে বনশ্রী থেকে রামপুরা ব্রিজ হয়ে মৌচাক ফ্লাইওভার দিয়ে দৈনিক বাংলা মোড়ে এসেছি। এরমধ্যে শান্তিনগর থেকে দৈনিক বাংলা মোড় পর্যন্ত কিছুটা যানজট পড়েছি।’