জানা গেছে, জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৪৬টি বিদ্যালয়ে, জলঢাকায় ৩৯টি, ডিমলায় ৫৭, ডোমারে ৬৪, সদরে ৫৫ ও সৈয়দপুর উপজেলায় ১৩টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক না থাকায় এসব বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে পাঠদানসহ দাফতরিক কাজ চলছে। এতে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা। ফলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১৭১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। এছাড়া ২০টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
আব্দুল হামিদ নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘আমার ছেলে নিতাই ইউনিয়নের পূর্ব দলিরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। শিক্ষক না থাকায় একজন শিক্ষককেই অতিরিক্ত ক্লাস নিতে হচ্ছে। ফলে পড়ালেখার মান কমে যাচ্ছে।’
কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাসুদুর হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আগে সহকারী শিক্ষকের অনেক পদ শূন্য ছিল। কয়েক মাস আগে পুল শিক্ষকদের নিয়োগ দিয়ে সহকারী শিক্ষকের পদ পূরণ করা হয়েছে। বর্তমানে আর মাত্র ২০টি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। আর প্রধান শিক্ষকের নিয়োগের বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি এ সমস্যার সমাধান হবে।’
জেলা সহকারী মনিটরিং কর্মকর্তা হাসান তারিক জানান, ‘জেলার ২৭৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। শিক্ষক স্বল্পতার কারণে এসব বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার মান কমে গেছে।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওসমান গণি বলেন, ‘শিক্ষক স্বল্পতা দীর্ঘদিনের সমস্যা। তবে বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। আশা করি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।’