আগামী বছর জুনে পায়রার প্রথম ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু

নির্মাণাধীন পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রআগামী বছর জুনে পায়রা ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন অত্যাধুনিক কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে উৎপাদন শুরু হবে।

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসেন বলেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি হবে পরিবেশবান্ধব। এতে স্বচ্ছ কয়লা (ক্লিন কোল) ব্যবহৃত হবে। এই প্ল্যান্ট দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

তিনি বলেন, ৬৬০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদনও ২০২০ সালের মধ্যে শুরু হবে। এতে এই কেন্দ্রের মোট উৎপাদন ক্ষমতা হবে ১৩২০ মেগাওয়াট।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চীনের বিদ্যুৎ কোম্পানি সিএমসি এবং বাংলাদেশের নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এনডব্লিউপিজিসিএল) যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) প্রায় ২ বিলিয়ন টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

তিনি বলেন, সরকার এই অঞ্চলের পরিবেশ, জনবসতি ও জীববৈচিত্র্যের সুরক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। গভীর সাগর থেকে আচ্ছাদিত বার্জে কয়লা প্ল্যান্টে নেওয়া হবে।

এর আগে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এই প্রকল্পের নির্মাণকাজ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমি এই প্রকল্পের দ্রুত নির্মাণকাজে অত্যন্ত আনন্দিত।’

২০১৪ সালে ১৯ মার্চ এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও চীনের দুই কোম্পানির মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ক্রয় ও নির্মাণ চুক্তি হয় ২০১৬ সালের ২৯ মার্চ। খবর বাসস।