বাতাসা-গোলাপে ডিএমপি’র নববর্ষের শুভেচ্ছা

নববর্ষ বরণ উৎসবে আসা লোকজনকে বাতাসা ও গোলাপ ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।রমনা বটমূল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ মুখে পুলিশ সদস্যরা বাতাসা ও গোলাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তারা উৎসবে আগতদের হাতে ফুল ও বাতাসা তুলে দিচ্ছেন।

রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার  বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এবারও নতুন বছরকে বরণ করে নিতে যারা রমনা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসেছেন তাদের সবাইকে ডিএমপির পক্ষ থেকে ফুল ও বাতাসা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হচ্ছে।’

রাজধানীর সবুজবাগ থেকে পরিবার নিয়ে রমনা পার্কে এসেছেন হালিম হাওলাদার। কাকরাইল মসজিদ সংলগ্ন গেট দিয়ে প্রবেশের সময় পুলিশ তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়। তার দুই সন্তানের হাতে দেয় বাতাসা। প্রথমে পুলিশের ফুল ধরতে গিয়ে তারা মুখের দিকে তাকায়। পুলিশ সদস্যরা হেসে দিয়ে নববর্ষ বলার পর তারা ধন্যবাদ জানিয়ে ফুল ও বাতাসা নেন।  

রমনা পার্কে প্রবেশের সবক’টি প্রবেশ পথে নিরাপত্তার জন্য যেভাবে তল্লাশির পুলিশ সদস্য আলাদা ঠিক সেভাবে ফুল ও বাতাসার ডালা নিয়েও আলাদা পুলিশ সদস্যরা দাঁড়িয়ে আছেন।

রমনা পার্কের অরুণোদয় ফটকেও পুলিশকে দেখা গেছে দর্শনার্থীদের প্যাকেট ভর্তি বাতাসা দিতে। শিশুরা কেউ কেউ পুলিশের কাছ থেকে বাতাসা নিতে চাইছিল না। পরে অবশ্য তাদের আদর করে বাতাসা দিতে দেখা গেছে।  

আজ শনিবার (১৪ এপ্রিল) ভোর সোয়া ৬টা থেকে রমনা বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। এবারের আয়োজনের মূল প্রতিপাদ্য-বিশ্বায়নের বাস্তবতায় শিকড়ের সন্ধান। রমনা বটমূলকে ঘিরে জড়ো হলো অগুনতি সংস্কৃতিপ্রাণ মানুষ। ছায়ানটের শিল্পী-কর্মীদের জন্য বটমূল সংলগ্ন সামান্য জায়গা ছাড়া প্রায় গোটা প্রাঙ্গণই উন্মুক্ত রয়েছে সবার জন্য। বটমূলের বর্ষবরণ আয়োজন সুষ্ঠু রাখতে সার্বক্ষণিক সহায়তা দিচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

মঙ্গল শোভাযাত্রাএদিকে, সকাল ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়েছে। এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার স্লোগান ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি।’  শোভাযাত্রাটি হোটেলে ইন্টারকন্টিনেন্টাল (আগের রূপসী বাংলা), শাহবাগ ও টিএসসি মোড় ঘুরে ফের চারুকলার সামনে গিয়ে শেষ হয়।