দুই পা-ই হারালেন বিমান বিধ্বস্তে আহত কবির হোসেন





ইউএস বাংলার বিধ্বস্ত বিমাননেপালে ইউএস-বাংলার বিমান দুর্ঘটনায় আহত কবির হোসেনের আরেকটি পা কেটে ফেলা হয়েছে। সিঙ্গাপুরে অস্ত্রোপচার করে পা’টি কেটে ফেলা হয়। বৃহস্পতিবার বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। 




তিনি বলেন, ‘সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকদের সঙ্গে আমার প্রায় দিনই বিমান দুর্ঘটনার রোগীদের বিষয়ে কথা হয়। আজ চিকিৎসক আমাকে জানিয়েছেন, কবির হোসেনের অন্য পাও কেটে ফেলা হয়েছে। সিঙ্গাপুর নেওয়ার পরপরই একটি পা কেটে ফেলা হয়েছিল।’ 
তিনি আরও বলেন, ‘কবির হোসেন ঢাকা মেডিক্যালে থাকা অবস্থায়ই তার নিরাপত্তার জন্য আমরা এক পা কেটে ফেলার কথা বলেছিলাম। তখন তার পরিবার রাজি হয়নি। পরে তারা সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তখনই তার অবস্থা বেশ খারাপ ছিল। পরে সেখানকার চিকিৎসকরা তার অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ওই পাও কেটে ফেললেন।’  
গত ১২ মার্চ নেপালে মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ১০ বাংলাদেশিকে। তাদের মধ্যে শাহরিন আহমেদ, আলীমুন নাহার এ্যানী, সৈয়দ রাশেদ রুবাইয়াত, কামরুন নাহার স্বর্ণা ও মেহেদী হাসান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। গত ২৬ মার্চ সেপটিসেমিয়ার কারণে মারা যান শাহীন ব্যাপারী।
অন্যদিকে, ইমরানা কবির হাসি, ডা. রেজওয়ান আহমেদ ও কবির হোসেন সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া, ইয়াকুব আলী ভারতে চিকিৎসাধীন।
দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।
ইউএস-বাংলার বিমানটি নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে ৬৭ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু ছিলেন। এ ঘটনায় ২৬ জন বাংলাদেশি, ২২ জন নেপালি ও একজন চীনা নাগরিক নিহত হন। আহত হন ১০ বাংলাদেশি, ১১ নেপালি ও মালদ্বীপের একজন। আহত বাংলাদেশিদের মধ্যে ১৫ মার্চ শাহরিন আহমেদকে, পরদিন মেহেদী, স্বর্ণা ও এ্যানীকে, ১৭ মার্চ সৈয়দ রাশেদ রুবাইয়াত, ১৮ মার্চ শাহীন ব্যাপারী এবং ১৯ মার্চ কবির হোসেনকে দেশে আনা হয়। পরে কবির হোসেনের অবস্থা খারাপ হলে তাকে ২৫ মার্চ রাতে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয়। আর ২৬ মার্চ বিকালে চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে মারা যান শাহীন ব্যাপারী।