তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের ১০ জুন যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তারেক রহমান ও তার পরিবারের পাসপোর্ট লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ফেরত পাঠানো হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘তাদের (তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও রাইমা) কারও কাছে কোনও ট্রাভেল ডকুমেন্ট নেই, যা দিয়ে তারা বাংলাদেশ আসতে পারবে।’
আজ সোমবার (২৩ এপ্রিল) নিজের গুলশানের বাসভবনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তারেক রহমান যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (হোম অফিস) কাছে পাসপোর্ট সারেন্ডার করেছে। এর কোনও ব্যবহার তারেক রহমানের কাছে নেই।’ তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে যখন পাসপোর্টটি ইস্যু করা হয়, এর আগে তারেক রহমানের একটি পুরনো পাসপোর্ট ছিল। সেটি হারিয়ে গেছে বলে উল্লেখ করা হয়।’
পাসপোর্ট হস্তান্তর মানে কি নাগরিকত্ব ছেড়ে দেওয়া কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে তা-ই মনে করি। বিদেশে অাপনার পরিচয় হচ্ছে আপনার পাসপোর্ট। এটি ফেরত দেওয়ার মাধ্যমে আপনি সেটি দাবি করছেন না।’ তিনি বলেন, ‘আমার হিসেবে তিনি (তারেক রহমান) বাংলাদেশের নাগরিক নন।’ জন্মসূত্রে নাগরিকদের নাগরিকত্ব বাতিল হয় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এটির উত্তর দিতে পারব না।’
তারেক রহমান পাসপোর্ট রিনিউয়ের জন্য আবেদন করলে সরকার বিবেচেনা করবে কিনা জানতে চাইলে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আইনানুগভাবে করা হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বিএনপির উদ্দেশে বলেন, ‘তারা পরিষ্কার করে বলুক, তারেক জিয়া কী স্ট্যাটাস নিয়ে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। তারা (বিএনপি) বলে তারেক রহমান চিকিৎসার জন্য লন্ডনে আছেন; এটি একটি হাস্যকর কথা। আমরা যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে অভিযোগ করার পর তারেক রহমানের মুভমেন্ট (চলাফেরা) সীমিত করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারেক রহমানকে নিয়ে আমরা চাপ (যুক্তরাজ্যকে) অব্যাহত রেখেছি। আমরা এবারও তাদের (যুক্তরাজ্য সরকার) কাছে তার বিষয়ে জানতে চেয়েছি। তারা বলেছে এটি গোপনীয় বিষয়। তথ্য দিতে তাদের আইনগত বাধা আছে।’
বিকালে নিজের ফেসবুক পেজে তারেক রহমানের পাসপোর্ট হস্তান্তরের বিষয়ে স্ট্যাটাস দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। এতে পাসপোর্টের কয়েকটি পাতা ও ফরোয়ার্ডিং লেটারের ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘যে তথ্য প্রমাণ তারা চেয়েছিল, নিচে দেওয়া হলো। এই তথ্য আমি ২০১৫ এবং ২০১৭-তেও দিয়েছি। এতদিন পর তারা এটাকে অসত্য বলছে কেন তা বোধগম্য নয়। শুধু তারেক রহমান নয়, তার স্ত্রী এবং কন্যার পাসপোর্টও যুক্তরাজ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তারা আমাদের হাইকমিশনে ফেরত দিয়েছে ২০১৪ সালে। পাসপোর্টগুলো এখন সেখানেই রাখা আছে। এইগুলো হাতে লেখা পাসপোর্ট। তবে তিনি বা তার পরিবার পরবর্তীতে MRP পাসপোর্টের জন্যও আবেদন করেননি।’