পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আমরা সেপ্টেম্বরে অবৈধদের প্রত্যাবাসনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে চুক্তি করেছি, যার মাধ্যমে একটি উন্নয়ন কাঠামোর মধ্যে থেকে গোটা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছি।’
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর থেকে এই পর্যন্ত সাত মাসে শুধু জার্মানি থেকে দুই দফায় প্রায় ৭০জন বাংলাদেশি ফেরত এসেছে।
প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘ইউরোপ থেকে বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর এই কাঠামো ভালোভাবে কাজ করছে। আমরা বৈশ্বিক অভিবাসন ব্যবস্থায় এর প্রতিফলন দেখতে চাই। ইউরোপ অনেক দেশের সঙ্গে রি-অ্যাডমিশন চুক্তি করেছে, যার মাধ্যমে তারা জোর করে ওই দেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠাতে পারে।’ কিন্তু এটি আদৌ কাজ করছে না বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্র সচিব।
এম শহীদুল হক বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে করা চুক্তির মাধ্যমে অবৈধভাবে অবস্থিত বাংলাদেশিরা স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত আসতে চান। এর একটি সুবিধা হচ্ছে, যারা ফেরত আসছে, তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হয় না। তারা পরবর্তী সময়ে সুযোগ পেলে ইউরোপে প্রবেশ করতে পারবে।’
পররাষ্ট্র সচিব আরও বলেন, বলেন, ‘আমরা মানবাধিকারভিত্তিক একটি ব্যবস্থা চাই, যার মাধ্যমে অবৈধদেরও যেন অধিকার ক্ষুণ্ন না হয়।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশিদের জন্য ২০১৪ সালে প্রায় ২৬ হাজার, ২০১৫ সালে প্রায় ২১ হাজার ও ২০১৬ সালে প্রায় ২৫ হাজার রেসিডেন্স পারমিট ইস্যু করেছে। কিন্তু ২০১৭ সালে জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত মাত্র চার হাজার ১০০ পারমিট ইস্যু করেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য ২৭টি দেশে প্রায় দুই লাখ বৈধ ভিসাধারী বাংলাদেশি অবস্থান করছে, যাদের সেখানে থাকা ও কাজ করার অনুমতি আছে।
অন্য আরেকটি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৬ সালে প্রায় ৮ হাজার ২০০ জন এবং ২০১৭ সালের ১৯ জুলাই মাস পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার ৫০০ বাংলাদেশি ইটালিতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে।