কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ জামাতের ৬ মুরব্বির প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

কাকরাইল মসজিদ (ছবি: সংগৃহীত)রাজধানীর কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ-জামাতের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় ছয় মুরব্বির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। কাকরাইল মসজিদ সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে মসজিদে জরুরি বৈঠক হয়। সেখানে দুটি সিদ্ধান্ত হয়। আগামী ১ মে পর্যন্ত সৈয়দ ওয়াসিফ ও মাওলানা জুবায়ের কাকরাইলের বাহিরে থাকবেন। দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত হলো- দুই গ্রুপের দুই দুইজন করে চারজনকে সাময়িকভাবে কাকরাইলে আসা-যাওয়া না করতে বলা হয়েছে।

সাময়িকভাবে কাকরাইল মসজিদে না যাওয়ার নির্দেশ পাওয়া মুরব্বিরা হলেন- আব্দুল্লাহ মনছুর, ড. এরতেজা হাসান, ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজ হান্নান ও ড. আজগর।

এ বিষয়ে পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা বহিরাগত সবাইকে বের করে দিয়েছি। মসজিদের স্বাভাবিক কাজকর্ম চলবে। এ বিষয়ে মসজিদ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে।’ তিনি জানান, বাইরে থেকে কেউ এসে মসজিদে অবস্থান করতে পারবেন না। তবে নামাজ আদায় করা যাবে।

বৈঠকে সূত্রে জানা গেছে, স্বরাষ্টমন্ত্রী দেশে আসার পর তাবলিগ জামাতের নেতাদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান করা হবে।কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ-জামাতের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ (ছবি: ফোকাস বাংলা)

শনিবার সকালে কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ-জামাতের সাদপন্থী ও হেফাজতপন্থীদের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এরপর মসজিদের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। দুই পক্ষকেই বের করে দিয়ে মসজিদ ফাঁকা করে পুলিশ।

গত বিশ্ব ইজতেমার আগে থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে মতবিরোধ চলে আসছিল তাবলিগ-জামাতের দুই গ্রুপের মধ্যে। বিশ্ব ইজতেমার সময় তাবলিগ-জামাতের দিল্লির মারকাজের মুরব্বি মাওলানা সা’দকে ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে সংকট আরও ঘনিভূত হয়। সা’দের বক্তব্য নিয়ে দুই পক্ষ অন্তত চারবার সংঘর্ষে জড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল মন্ত্রণালয়ে কয়েকবার বৈঠকও করেছেন। এরপরও দুই পক্ষকে সমঝোতায় আনা সম্ভব হয়নি। এর আগেও তাবলিগ-জামাতের বিরোধ নিয়ে এই দুই পক্ষের মধ্যে মামলা-পাল্টা মামলা হয়েছে।

আরও পড়ুন- ফের কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ জামাতের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ