‘ডিসেম্বরের মধ্যে শতভাগ সরকারি স্কুলে মিড ডে মিল’

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান (ফাইল ছবি)প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ‘এক সময় শিশুদের স্কুলে বিস্কুট খাওয়ানো হতো। কিন্তু অনেক গবেষণা করে বিশেষজ্ঞরা বললেন, শিশুদের পেটে ভারি খাবার না পড়লে তাদের পড়াশোনায় মনোযোগ আসে না। ক্লাসে বসতে পারে না। তাই অনেক চিন্তা করে দেখলাম কীভাবে তাদের পেটে ভারি খাবার দেওয়া যায়। সেই চিন্তার ফলেই আমরা বললাম মায়েদের তার নিজ সন্তারের জন্য স্কুলে খাবার আনতে হবে। এভাবেই এখন দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ সরকারি স্কুলে মিড ডে মিল হিসেবে নিজ সন্তানের জন্য স্কুলে ভারি খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন মা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শতভাগ সরকারি স্কুলে এই কার্যক্রম চালু করতে সফল হবো।’

বুধবার বিকালে রাজধানীর এলজিআরডি ভবনে গণসাক্ষরতা অভিযানের উদ্যোগে করা এক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘পড়ালেখায় মনোযোগী ও স্কুলমুখী করতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য এই মিড ডে মিল চালু করা হয়েছে। শিশুদের মায়েরা তাদের সন্তানদের জন্য টিফিন বাটিতে খাবার নিয়ে স্কুলে এসে এক সঙ্গে বসে খাচ্ছেন। এতে করে ওই শিশুর সঙ্গে মায়ের আন্তরিকতাও আরও বাড়ছে। যারা ব্যস্ত মা তারা স্কুলে আসার আগেই সেই খাবার সন্তানকে দিয়ে দিচ্ছেন। প্রথমে আমরা দুটি জেলার প্রাথমিক স্কুলে মিডডে মিল চালু করেছিলাম। বর্তমানে সারাদেশের ৯০ শতাংশ স্কুলে চালু হয়ে গেছে। এ বছরের ডিসেম্বর থেকে শতভাগ স্কুলে মিডডে মিল চালু করা হবে।’

গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরীর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদ্রাসা ও কারিগরি বিভাগের সচিব আলমগীর, ঢাকা আহসানিয়া মিশনের সভাপতি কাজী রফিকুল আলম, ব্রিটিশ হাই কমিশনের বাংলাদেশের ডিএফআইডি প্রধান জানে এডমনসন প্রমুখ।