খুলনার পুলিশ প্রশাসনকে ইসির নিয়ন্ত্রণে রাখার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন বিএনপির

01পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচন করতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (১০ মে) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বিএনপির প্রতিনিধি দলের প্রধান ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এই সংশয় প্রকাশ করেছেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের আগ্রহ নিয়ে আমাদের কোনও প্রশ্ন নেই। তবে পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণে রেখে নির্বাচনটি শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে করতে তাদের সক্ষমতা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন রয়েছে।’
বিএনপি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটা থেকে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে তারা খুলনার নির্বাচনি কাজে দায়িত্বরত নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। এসময় তারা সুষ্ঠু নির্বাচনে গ্রেফতার ব্যক্তিদের মুক্তি ও নতুন করে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার না করার দাবি জানান।
এসময় তারা খুলনার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তিনজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের দাবি তোলেন।
এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘গত কয়েক দিনে আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সন্ত্রাস ও মাদক আইনে তাদের গ্রেফতারের দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে তাদের বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল বুধবার (৯ মে) থেকে নতুন করে তারা গ্রেফতার ও হয়রানি করা শুরু করেছে। নির্বাচনে যারা আমাদের এজেন্ট হবে, তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে, যাতে করে তারা এজেন্ট হওয়ার সাহস না দেখায়।’
সিইসি আপনাদেরকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, কিন্তু তা বাস্তবায়ন না দেখলে আমরা আশ্বস্ত হতে পারছি না।’
‘খুলনায় রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের তোলা অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল ‘খুলনার রিটার্নিং কর্মকর্তা ছাত্রদল করেছেন’ বলে অভিযোগ তুলেছে। উনি ছাত্রদল করেছেন কিনা তা জানি না। আমরা তো সিইসির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলাম উনি ছাত্রলীগ করতেন। ছাত্রলীগ করা কেউ যদি সিইসি হতে পারেন, তাহলে ছাত্রদলের কেউ রিটার্নিং কর্মকর্তা হলে সমস্যা কী?
খুলনার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যক্রম পর্যব্ক্ষণে ইসি একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়ার সমালোচনা করে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আমাদের জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের দাবির আগেই তারা ওই কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিয়েছে। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তার ওপর কাউকে নিয়োগ দেওয়া হলে নির্বাচন প্রভাবিত হবে। তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যক্রম তদারকি করবেন, এতে করে রিটার্নিং কর্মকর্তা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন না।’

আপনরা যে পুলিশ প্রত্যাহারের দাবি করছেন, সে ব্যাপারে ইসি কী বলেছেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সিইসি আমাদেরকে বলেছেন, সুষ্ঠু নিরাপদ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে সেটা ওই পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করে, না তাদের নিয়েন্ত্রণে রেখে তা আমরা জানি না।’