সূত্রমতে, বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় ক্ষয়ক্ষতি কী পরিমাণ হয়েছে তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। রবিবারের (১৩ মে) মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হলে অ্যভন্তরীণ ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে। যদি পুরো সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায় তাহলে আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগবে ইএমআইএস চালু হতে। তবে সিস্টেম ঠিক থাকলে রবিবারের পর দু-এক দিনের মধ্যেই ইএমআইএস চালু করা যাবে।
এদিকে, মে মাসে এমপিওভুক্তির জন্য নতুন শিক্ষকদের আবেদন কেন্দ্রে পৌঁছানোর সময় দেওয়া আছে ১৮ মে। এ সময়ের মধ্যে যদি দেশের ৯টি আঞ্চলিক অফিস শিক্ষক ফাইল ও তথ্য পাঠাতে না পারে, তাহলে এ মাসের এমপিও পাবেন না শিক্ষকরা। এর আগে গত মার্চ মাসে আঞ্চলিক পরিচালকের অবহেলায় রংপুরের প্রায় দেড় হাজার শিক্ষক এমপিও বঞ্চিত হন। এবারও ওই বঞ্চিত দেড় হাজারসহ প্রায় সাড়ে চার হাজার শিক্ষক বঞ্চিত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাজধানীর বর্ণমালা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ফিন্যান্স ব্যাকিং ও বীমা বিভাগের প্রভাষক রাশেদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আগামী ১৮ তারিখের মধ্যে আঞ্চলিক অফিস থেকে মাউশিতে তথ্য ও ফাইল পাঠনোর শেষ দিন। এ অবস্থায় আমাদের ফাইল ও তথ্য পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় কোনও কারণে সময় না বাড়ানো হলে আমরা এ মাসেও এমপিও পাবো না। চারমাস পর আবার নতুন করে এমপিওভুক্তির সুযোগ পাবো।’
এসব বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক আবদুল মান্নান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যদি ইএমআইএস চালু হতে দেরি হয়, সেক্ষেত্রে সময় বাড়িয়ে দেওয়া হবে। কোনোভাবেই শিক্ষকদের সমস্যায় ফেলা হবে না।’
প্রোগ্রামার মো. জহির উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘যদি অভ্যন্তরীণ ড্যামেজ বেশিও হয়, তাহলে আমাদের ব্যাক-আপ রয়েছে। রবিবার বিদ্যুৎ সংযোগ পেলে তা নিশ্চিত হয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে চালু করা সম্ভব হবে। আর যদি বেশি ক্ষয়ক্ষতি না হয়ে থাকে, তাহলে রবিবারের পর দু-একদিনের মধ্যেই সার্ভার চালু করা সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন- আবারও আন্দোলনে যাচ্ছেন শিক্ষকেরা!