রমজানে গরুর মাংসের দাম ৪৫০ টাকা, খাসি ৭২০ টাকা নির্ধারণ

গরুর মাংস

রমজান উপলক্ষে মাংসের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। গত রমজানের বেঁধে দেওয়া মাংসের দাম তুলনায় নিয়ে এই দাম নির্ধারণ করা হয়। এবার গত রমজানের তুলনায় সব ধরনের মাংসের দাম কমিয়ে নির্ধারণ করেছে ডিএসসিসি। এই মূল্য ১ রমজান থেকে কার্যকর হবে। চলছে ২৬ রমজান পর্যন্ত।  সোমবার দুপুরে দক্ষিণ নগর ভবনে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে এক মতবিনিময় শেষে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন এই দাম ঘোষণা করেন।

গত রমজানের তুলনায় ২৫ টাকা কমিয়ে  এবার রমজানে দেশি গরুর মাংসের কেজি নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫০ টাকা। বোল্ডার বা বিদেশি গরুর মাংসের দামও ২০ টাকা কমিয়ে ৪২০ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া মহিষের মাংসের দাম গত বছরের তুলনায় কেজি প্রতি ২০ টাকা কমিয়ে ৪২০ টাকা এবং ভেড়া ও ছাগলের মাংসের দামও গত বছরের তুলনায় ২০ টাকা কমিয়ে ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সুপার শপগুলোতেও একই দামে মাংস বিক্রির নির্দেশ দিয়েছে ডিএসসিসি।

মতবিনিময় সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘কোনও ব্যবসায়ী নির্ধারিত দাম না মানলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ মাংসের দাম যাতে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে সেজন্য ব্যবসায়দের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

মেয়র বলেন, ‘এর আগে ব্যবসায়ীরা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন গত রমজানের তুলনায় এ রমজানে পণ্যের দাম কম থাকবে। আপনারা মাংসের দাম জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতেন। মাংসের গুণগত মান ঠিক রাখবেন এবং ওজনে কম দেবেন না।'

মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, সিটি করপোরেশন এলাকায় বর্তমানে জবাইখানা নেই। আধুনিক জবাই খানা দরকার। তাহলে আর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পশু জবাই হবে না। তার অভিযোগ, গাবতলী গরুর হাটে অন্যায়ভাবে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা হয়। গরু ব্যবসায়ীদের বেঁধে রেখে নির্যাতন করা হয়। আমরা উত্তর সিটি করপোরেশনকে এ ব্যাপারে অন্তত এক হাজার অভিযোগপত্র দিয়েছি। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।' এসময় তিনি ডিএসসিসি এলাকায় একটি স্থায়ী কোরবানির হাট স্থাপনের দাবি জানান।