পাটজাত পলিথিন বাজারজাতকরণে টাস্কফোর্স গঠনের সুপারিশ

সংসদীয় কমিটির বৈঠকপাটজাত পলিথিন ‘সোনালী ব্যাগ` বাণিজিকভাবে বাজারজাতকরণের লক্ষ্যে টাস্কফোর্স গঠনের সুপারিশ করছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। একইসঙ্গে মেধাস্বত্বের আলোকে পাটজাত পলিব্যাগের মালিকানা স্বত্ব যাতে বাংলাদেশের থাকে সে লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

সোমবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ও সাবিনা আক্তার তুহিন অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে জানানো হয়, পলিথিনের বিকল্প হিসাবে পচনশীল পলিব্যাগ উৎপাদনের লক্ষ্যে পাইলট প্রোডাকশন বর্তমানে চলমান রয়েছে এবং প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার পিস ব্যাগ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়া ভবিষ্যতে প্রতিদিন ৫ লাখ পিস ‘সোনালী ব্যাগ’ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটা সম্ভব হলে প্রশাসনিক ব্যয় এবং মেশিনের অবচয় মূল্য ইউনিট প্রতি কমে যাবে এবং ব্যাগের বাজার মূল্য ৭/৮টাকায় নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।

বৈঠকে পাটচাষিদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সারাদেশের পাট চাষিদের একটি পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেজ তৈরির কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার এবং পাটচাষিদের কল্যাণার্থে পাট অধিদফতর তথা সরকারের কাছে সার্বিক বিষয়ে পাটচাষিদের প্রত্যাশা সম্পর্কে একটি স্টাডি রিপোর্ট তৈরি করার সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রোমোশন সেন্টার (জেপিডিসি)বহুমুখী পাটপণ্যের উৎপাদন, ব্যবহার ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে (JDPC) ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে বলে উল্লেখ করা হয়।